মেয়ে হলেই রান্না জানতে হবে! এই ফাঁদে পড়বেন না। বরং মেয়ে হলে রান্নাকে না বলুন। কারণ রান্না শিখে গেলেই আপনি শেষ! সবাইকে রান্না করে খাওয়াতে হবে। বরং রান্না না জানলেই মেয়ে হিসেবে লাভ বেশি! কী কী সেসব লাভ! চলুন জানা যাক।
১. রান্না না জানার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কেউ চাইলেই আপনাকে বলতে পারবে না, একদিন তোমার হাতের রান্না খাওয়াইও।
২. উৎসব, আয়োজন, ঈদ, পূজায় বাড়ি ভর্তি মেহমানের জন্য রান্না করতে হবে না!
৩. কেউ রান্না খেয়ে বলার সুযোগ পাবে না, ছি! তমুকের মেয়েটার হাতের রান্না এত বাজে! ওয়াক!
৪. আপনার নামের পাশে কোনোদিন ‘রান্নাঘরের হোম মিনিস্টার’ জাতীয় গ্যাসলাইটিং ঘরানার টাইটেল বসবে না।
৫. অতিথি এলে সোজা বলতে পারবেন, আপনারা খাবার আনেন, আমি শুধু হাসি-তামাশা পরিবেশন করব।
৬. বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে ‘বউয়ের হাতের রান্না’ শো-অফ সেশনে আপনাকে ডাকা হবে না।
৭. হুদাই দূর-দূরান্তের আত্মীয়-স্বজনকে রান্নার রেসিপি দিতে হবে না।
৮. বাসার সবাই পার্টি করলে আপনি রান্নাঘরে আটকে না থেকে খাওয়া-দাওয়ায় ও আড্ডা ফুলটাইম এঞ্জয় করতে পারবেন।
৯. রান্না না জানলে রান্নাঘরে কোথায় কী আছে! মরিচের বাটিটা কোথায়, হলুদের বয়ামটা কই! কোনটা নুনের আর কোনটা চিনির বয়াম, এইসব বাড়তি টেনশন একেবারেই থাকবে না।
১০. সবচেয়ে বড় কথা হলো, রান্না না জানলে সারাবছর বাইরের মজার মজার খাবার খেতে পারবেন। রেস্টুরেন্টওয়ালাদের কাছে আপনি হয়ে যাবেন ভিআইপি কাস্টমার।