ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অকেজো পড়ে থাকা গবেষণাকেন্দ্রগুলোকে যেসব কাজে লাগানো যায়

৪৬ পঠিত ... ৯ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে

একটি নয়, দুইটি নয়, ৫৬টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতগুলো গবেষণা কেন্দ্র হার্ভাড, এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়েও নেই। অথচ, এর মধ্যে প্রায় সবগুলোই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আমাদের একটি বিশেষ টিম আলাদা একটি গবেষণা কেন্দ্র খুলে গবেষণা করে বের করেছেন, কীভাবে এই রিসার্চ সেন্টারগুলোকে কাজে লাগানো যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক 

সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ সেন্টার: মাইক্রোচিপ-এর মতো Cheap এবং ক্ষুদ্র জিনিস নিয়ে কাজ করবে একটা রিসার্চ সেন্টার? কখনোই নয়। তার চেয়ে, বাংলাদেশে যেসব বড় বড় টেন্ডার আছে, তাদের কন্ডাক্টরদের এই রিসার্চ সেন্টারের দায়িত্বে বসানো যায়। এছাড়া ঢাকা শহরের লোকাল বাসের কন্ডাক্টরের ওপর যাত্রী ওঠানোর যে গুরুদায়িত্ব, তারাও এখানে গবেষণা করে বের করতে পারে কীভাবে চাপাচাপি করে আরও বেশি যাত্রী তোলা যায়।

উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র: এই গবেষণা কেন্দ্র বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেইসবুক, টিকটক এদের হাতে তুলে দেওয়া যায়। এখানে গবেষণা করে বের করা যায় কীভাবে লাইলির ফেইসবুক পোস্টে রিয়েক্ট কমে যাচ্ছে, কীভাবে তরুণ সমাজকে আরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আকৃষ্ট করা যায়। 

উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র: লম্বা মানুষ, এদের কেন বিয়ে হয় না, এদের বুদ্ধি কেন হাটুঁতে থাকে তা নিয়ে গবেষণা করা যায়। 

ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ: এটা দেওয়া উচিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। কীভাবে বিজনেস থেকে চান্দা নেওয়া যায়, আরেকজনের ব্যাবসা দখল করে নেওয়া যায়। এছাড়া ডেসটিনির মতো মানুষের টাকায় ব্যবসা শুরু করে টাকা নিয়ে কীভাবে পালানো যায় তা নিয়েও উচ্চতর গবেষণা হতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান গভর্ন্যান্স: সমুদ্রপথে মাদক এবং মানব পাচার নিয়ে হতে পারে উচ্চতর বাণিজ্যিক গবেষণা। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ: নারীদেরকে কীভাবে বাসায় বন্দি করা যায়, পুরুষদের কীভাবে আরও ক্ষমতাবান করা যায় এই নিয়ে এই গবেষণা কেন্দ্র রিসার্চ করতে পারে। এর প্রথম স্টেপ হবে এই গবেষণা কেন্দ্র নারীর নাম বাদ দিয়ে পুরুষের নামে করা।

বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ: পরিবেশের অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশের অনেক নদী খালি পড়ে আছে। কীভাবে এগুলো দখল করে দালান বানানো যায় তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। 

সেন্টার ফর মাইক্রোফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট: মাইক্রোফাইন্যান্সের নামে কীভাবে মানুষের বাসার টিন খুলে নেওয়া যায় তা নিয়ে এই সেন্টার কাজ করতে পারে। 

ড. সিরাজুল হক সেন্টার ফর ইসলামিক রিসার্চ: দেশের সব জনগণকে ইসলামের পথে এনে খেলাফত প্রতিষ্ঠাই হবে এই রিসার্চ সেন্টারের গুরুত্বপুর্ণ কাজ। 

৪৬ পঠিত ... ৯ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে

Top