এক দায়িত্বশীল সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, শুধু জনগণের ভোট দিয়ে কাজ হবে না। যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।
তার এমন বক্তব্যে সামনের নির্বাচনে ভোট কারচুপি করার রোডম্যাপ পাওয়া গেছে দাবি নেটিজেন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এর আগে আমরা দেখেছি, ভোট কারচুপিতে আওয়ামী লীগ ছিল এক ও অনন্য। প্রশাসনকে হাত করা ছাড়াও তাদের হাতে ছিল ভোট চুরির আরও নানাবিধ কৌশল। জামায়াত যদি সামনের নির্বাচনে আসলেই ভোট কারচুপি করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তারা আরও যেসব পন্থা ধার করতে পারে তাই ভেবে দেখেছেন eআরকির গবেষক দল।
১. মধ্যরাতের ভোট
আওয়ামী লীগের আমলে ভোট কারচুপি অব্যার্থ এক পন্থা ছিল মধ্যরাতের ভোট। ভোটের আগেরদিন মধ্যরাতেই আওয়ামী লীগ অগ্রীম ভোটের কাজ সেরে ফেলত! এতে যেমন দিনের আলোর অপচয় হতো না, তেমনি গণতান্ত্রিক সিস্টেমে একদিন এগিয়ে থাকতে পারত দেশ। জামায়াত চাইলে এই পন্থাও কাজে লাগাতে পারে।
২. মৃত মানুষের ভোট
অনেকে বলে আওয়ামী লীগের আমলে নাকি মানুষের ভোটাধিকার ছিল না। অথচ আমরা দেখেছি, সে আমলে মৃত মানুষরাও ভোট দিতে পেরেছে। জামায়াত আওয়ামী লীগের এই মৃত মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমেও দেশে আওয়ামী আমল ফিরিয়ে আনতে পারে। মৃতদের ভোটদানে উৎসাহিত করায় দেশ-বিদেশে প্রশংসাও কুড়াতে পারবে দলটি।
৩. ডামি ভোটের নির্বাচন
২০২৪ সালে দেখেছি কোনো ধরনের প্রতিপক্ষ না রেখেই এক ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। একই এলাকার দুই প্রার্থীর মধ্যে দুজনই ছিল আওয়ামী লীগের। যেই জিতুক দিনশেষে আওয়ামী লীগেরই হয়েছে। এই ডামি মডেলও অনুসরণ করতে পারে জামায়াতে ইসলামি।
৪. ‘আপনার ভোট হয়ে গেছে’ মডেল
লীগ আমলের নির্বাচনে এই মডেলও বেশ জনপ্রিয় ছিল। কষ্ট করে ভোটারদের ভোট দিতে হতো না। ভোটকেন্দ্রে গেলে তারা জানতে পারত, তাদের ভোট হয়ে গেছে! বলা হতো, বাসায় চলে যান।
এই মডেল ব্যবহার করে টানা একাধিকবার জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামীম লীগ পারলে জামায়াত কেন নয়!
৫. অটোপাশ মডেল
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়াও ছিল আওয়ামী লীগের আমলে অন্যতম নির্বাচনী কৌশল। এই অটোপাশ মডেলে দেখা যেত, নির্দিষ্ট আসনে একমাত্র প্রার্থী থাকত আওয়ামী লীগ থেকে, বাকি কোনো দল থেকে আর কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হতো না! এই মডেলও বেশ কাজের। জামায়াত চাইলে এই মডেল নিয়েও সামনের নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।


