জামাতের কাছে ২০০ আসন চাইল ইসলামি আন্দোলন! জামায়াত বলল, কারও কাছে পাইলে আমাদেরকেও ১০০ দিও 

১৪৩১ পঠিত ... ১৭:৫০, নভেম্বর ২৪, ২০২৫

রাজনীতিতে দর কষাকষি নতুন কিছু নয়, কিন্তু সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি)-এর পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর কাছে আগামী নির্বাচনে ২০০টি আসন দাবি করার একটা খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। অনির্ভরযোগ্য (তবে অপ্রকাশযোগ্য) সূত্র মারফত জানা যায়, এই দাবির কথা শুনে জামায়াতের আমির তাৎক্ষণিক এক ফিসফিসানি বৈঠকে বসে পড়েন এবং এক অভাবনীয় পালটা প্রস্তাব দেন।

আইএবি-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএবি জামায়াতের সাথে জোট করতে চায়। তবে জোট করার পূর্বশর্ত হলো আইএবি-কে ২০০ আসন দিতে হবে!  

এই আকাশছোঁয়া দাবির পর জামায়াতের সদর দপ্তর থেকে একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়। সেই বার্তায় জামায়াতের আমির আইএবি-কে ধন্যবাদ জানিয়ে বিনয়ের সাথে জানান, আপনাদের উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা। তবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত আমাদেরও নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। আমাদের যদি আসলেই কাউকে ২০০ আসন দেওয়ার মতো অবস্থা থাকত তাহলে তো আমরা ৫ আগস্টের পরই সরকার গঠন করতাম! এখন আমাদের অনুরোধ, যদি আপনারাই কোথাও থেকে ৩০০ আসনের মতো জোগাড় করতে পারেন, তবে দয়া করে আমাদেরকে সেখান থেকে অন্তত ১০০টি আসন দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দেবেন। আমাদেরও তো আকাশে ওড়ার ইচ্ছা হয়!

এই ঘটনা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক রসিকতা করে বলেন, এটা অনেকটা এমন হলো যে, একজন রিকশাওয়ালা আরেকজন রিকশাওয়ালাকে বলছে, শুনো ভাই, তুমি যদি আমাকে ২০০ বিঘা জমি দাও তবেই আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে রাজি আছি। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইসলামী আন্দোলনের এই দাবি মূলত নেগোসিয়েশনের কিক-অফ ছিল, যেখানে তারা হয়তো ১-২টি আসন পেতে চায়। অন্যদিকে, জামায়াতের পাল্টা জবাব প্রমাণ করে যে তারা বর্তমানে নিজেদের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। সব মিলিয়ে, নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তেই দেশের রাজনীতিতে বিনোদনের অভাব হচ্ছে না, যা eআরকি সবসময় স্বাগত জানায়।

১৪৩১ পঠিত ... ১৭:৫০, নভেম্বর ২৪, ২০২৫

Top