আপনার কী মাঝেমাঝেই মনে হয়, জীবন গতিময় নয়, স্লো-ময়। এত চলে কী হবে? আপনার বন্ধুরা আগে আগে চলে গেলে ও ধীরগতির জন্য সবসময় পিছনে পড়ে যান?
কিংবা ইঞ্চি ইঞ্চি আফসোস হয়: হাঁটার কী দরকার, গড়িয়ে গড়িয়ে গেলেই তো হয়? তাহলে সান্ডা আপনার শিরায়, সান্ডা আছে আপনার উপশিরায়।
প্রিয় ফুটবল দলের হালি হালি গোল হজম করার মুহূর্ত, বিগত সতেরো বছরের এলাকার প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় হওয়া ছাড়াও কী কখনো মনে হয় ,আহারে! জীবনটা এর চেয়ে গর্তে থাকলেই বোধহয় ভালো হত কিংবা 'একটু সবুর করো তোমরা, গর্তে হারিয়ে যাবো', অথবা, গর্তে রয়েছি এটাই জরুরি খবর! তাহলে সান্ডা হওয়া আপনার জন্য সোজা, একদম ১৮০ ডিগ্রি সরল।
ভিন্ন প্রকৃতি ও পরিবেশের বিভিন্নতায় আপনার চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটে, বলেন ঠিক কিনা? ঠিইইইইইইইইইইইক (বায়বীয় কোরাস শুনলাম মনে হল)!
যা বলছিলাম, সেক্ষেত্রে সান্ডা হওয়া থেকে আপনি মাত্র আর কয়েক লেজ দূরত্বে আছেন। উল্লেখ্য এক লেজ সমান: এক হাত।
আপনি সাধারণত চুপচাপ হলেও কেউ খামোখা বিরক্ত করলে আপনার অন্তর্মুখীতা কি খসে পড়ে টিকটিকির লেজের মত ? তখন কী দেখিয়ে দিতে ইচ্ছে হয় এক হাত?
বিশ্বাস করুন, তাহলে সান্ডাও আপনার মত অন্তর্মুখী। কেউ বিরক্ত করলে সে ও লেজ-হাতের সূত্রানুযায়ী এক হাত দেখিয়ে দেয়।
মনে রাখবেন, টিকটিকি কিংবা গুঁইসাপের মত দেখতে হলেও সান্ডারাও মানুষ। ওদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা না করে বৈধভাবে কাছে টানুন। রাসেল ভাইপারের মত সেলিব্রেটি হয়ে ওরা জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে হারিয়ে যেতে চায় না। ওরা থাকতে চায় আপনার মত শুকনো জায়গায়। ওরা রাগ করে লেজ ফেলে চলে গেলে ওদের লেজ আমার গজালেও আপনার হাত কিন্তু আর গজাবে না।
পাঠকের মন্তব্য