আকাশে হঠাৎ ছায়া দেখে আশ্চর্য হলেন ওয়েস্টেরসবাসী। একী! বৃষ্টি! ওয়েস্টেরসের আকাশে তো বৃষ্টি হয় না, তবে পরক্ষণেই বুঝতে পারলেন ভুল। না, এ নীরদ বা বৃষধ্বজ নয়-তাদেরই পরিচিত, অতি পরিচিত মমতাময়ী ড্রাগনের ছায়া। ফিরে এসেছেন ডেনেরিস টার্গারিয়ান, ওরফে মাদার অফ ড্রাগন্স, ওরফে খালিসি, ওরফে ব্রেকার অফ চেইনস।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা দিলেন ডেনেরিস। তার আয়োজনে চারদিকে সাজ সাজ রব রব অবস্থা। মনিহারী দোকানে লেগে গেছে ভীড়, রাস্তায় রাস্তায় র্যাভেনদের জ্যাম, চারদিকে বাজনা। ডেনেরিসের সঙ্গীসাথীদের মধ্যেও ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। মিসান্দ্রেই প্রটোকল ঠিক করছেন, গ্রে ওয়ার্ম সিকিউরিটি টিম গুছাচ্ছেন, আর ড্রাগন তিনটি একে ওপরের উপর গা এলিয়ে টিকটক করছেন।
ডেনেরিস আসায় খুশি তো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ বটেই, চিন্তায়ও পড়ে গেছেন কেউ কেউ। শহরের এক প্রবীণ বললেন, এই মেয়ের ডি-ফর ডেনেরিস না, ডি-ফর ডেসট্রাকশন। আগেও দেখছি—কিছু দিন ঠিকঠাক রাজত্ব করে, সব খাম্বা টাম্বায় আগুন ধরে যায়। আমাদের এইবার চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
ডেনেরিস আসায় নতুন করে ধোয়া মোছা করা হচ্ছে আয়রন থ্রোন। বাজার থেকে অসংখ্য ফার্নিচার ও আয়রন ক্লিনার সহ চিনতি কাপড় নিয়ে গেছেন কর্মীরা। শুধু তাই নয়, থ্রোনের উপর যুক্ত করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ও অর্থোপেডিক কুশনও। যে যাই বলুক, ডেনেরিস তো আর শিশু ডেনেরিসটি নেই, তার বয়স হয়েছে, বেড়ে গেছে শরীরের রোগ বালাই। আয়রন থ্রোনের পাশেই রাখা আছে ফার্স্ট এইড বক্সসহ ওভার দ্য কাউন্টারের যত ওষুধপত্র।
লর্ড ভ্যারিসের দেওয়া তথ্যসূত্রমতে, আলোচনার এক পর্যায়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রে ওয়ার্ম নোটবুক খুলে ডেনেরিসকে বলেন, ম্যাডাম, ফায়ারওয়ার্কস অন, গ্রেনেড সব রেডি। আপনি শুধু ইশারা দিলেই হবে। এ ঘটনার পরপরই গ্রে ওর্মকে বহিস্কার করা হয় কমিটি থেকে। ভিন্ন ভিন্ন তথ্যসূত্র বলছে, রাজ্য চালনায় সম্ভবত নতুন পলিসি গ্রহন করবেন ডেনেরিস টার্গারিয়ান। আমরাও অপেক্ষায় আছি সে পরিবর্তন দেখার জন্য। প্রিয় পাঠক, ডেনেরিসের পরবর্তী আপডেটের জন্য সাথেই থাকুন।
পাঠকের মন্তব্য