জগতের যাবতীয় নানান নিপীড়ন, হয়রানি, হেনস্থা, ধর্ষণের পিছনে ওতপ্রোতভাবে প্রায় শতভাগ দায়ী নারীই।
এই নারীরা জন্ম থেকে শুরু করে সেই বার্ধক্য পর্যন্ত সমগ্র মানবজাতিকে দুশ্চিন্তায় রাখে। মাসখানেক বয়স থেকে শুরু করে ৬৯ এর বৃদ্ধা পর্যন্ত, যে কেউ, যখন-তখন, যেকোনো উপায়ে আপনাদের সরল মনে জটিল ক্যালকুলেশন করে বিভ্রান্তিতে ফেলে আপনাকে বাধ্য করতে পারে তাদেরকে হেনস্থা তথা নিপীড়ন করার জন্য। এই বিভ্রান্তি, এই উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরির পেছনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক পোশাক, অর্থাৎ নারীদের পোশাক। আরও কিছু পদক্ষেপ নিলে নারীদের এই হেনস্থার ব্যাপারটিতে লাগাম টানা সম্ভব।
নারী উৎপাদন কমানো জরুরি। দেশে বর্তমানে নারী-পুরুষের অনুপাত ১০০:৯৭। প্রতি একজন নারীকে হেনস্থা করতে একজন পুরুষ বরাদ্দ হয়ে আছে। বাড়তি তিনজনের জন্য ঐ ৯৭ জনকে আবার আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নারীদের ভবিষ্যত সংখ্যা কমিয়ে আনা বাঞ্ছনীয়। যত কম নারী, তত কম হেনস্থা।
আপনার নিজের টাকায়, নিজের শরীরে, এমনকি আপনার পোশাক আপনি নিজে পড়ে আপনার নিজের মত থাকলেও ভুলে যাবেন না
একটু আকটু অপমানিত হলেই ইদানিং মেয়েরা সরব হয়ে ওঠে। এদের সরব হওয়া আটকাতে পারলে হেনস্থার জন্য পরবর্তী সময়ে হওয়া হয়রানিই হবে না। এরা যাতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে এজন্য সবসময় একটা স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে। অপদস্থ হওয়া মাত্রই তারা ৫ মিনিট বিনা খরচে মুখ চেপে ধরবে।
স্মার্টফোনে, গ্যাজেটে বিশেষ আপগ্রেডেশন দরকার। নারীরা স্মার্ট নানান গ্যাজেট ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে কী সব হ্যাশট্যাগ মিঠু, রাজু করছে। নারীদের জন্য বিশেষ প্রযুক্তির ঐ স্মার্টফোনে থাকবে বিশেষ ফিচার। তারা নারীদের 'হাতে' যাওয়া মাত্র বাটন ফোনের মত আচরণ শুরু করবে।
সর্বোপরি বদলাতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি, নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি। কর্মক্ষেত্রে, বাইরে কিংবা ঘরে ‘চেপে যান’ নীতিমালার শক্ত প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন ও তাতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা প্রয়োজন।
যত বড় ঘটনাই ঘটুক না কেন, একমাত্র 'চেপে গেলে' সেটা আর বাইরে আসা সম্ভব নয়। হেনস্থার শিকার হওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন, দেখবেন জীবন কত সহজ হয়ে গেছে।



পাঠকের মন্তব্য