চালিয়ে যাও ব্রো, লাঠি লাগলে লাঠি নাও: সর্বমিত্রকে অর্থোপেডিক সার্জনরা 

পঠিত ... ৯ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে

ডাকসু কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। উচ্ছেদের মুখে শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসে মিছিল করে হকাররা। হকারদের সাথে যোগ দেয় বামপন্থি শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবির হাসান নামের এক শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানায়, প্রক্টর অফিসে থাকার সময় সে দেখেছে, ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমা এসে প্রক্টরকে বলছে, আপনি অনুমতি দেন, আমি হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে এই হকার মিছিলে হামলা করে ওদের ঠ্যাং ভেঙ্গে দিয়ে আসি। এই স্ট্যাটাস শেয়ার করে স্বয়ং সর্বমিত্র চাকমা। স্ট্যাটাসটি শেয়ার করে তিনি জানান, তিনি আসলেই ঠ্যাং ভেঙ্গে দিতে চেয়েছেন। কারণ তার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোররা মিছিল করবে আর সে তো আঙ্গুল চুষবে না! ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবে। 

সর্বমিত্র চাকমার এমন ভাবনা খুশী হয়েছেন দেশের অর্থোপেডিক সার্জনরা। অর্থোপেডিক সার্জনদের একটা গ্রুপ নিজেদের ফেক বিবৃতিতে সর্বমিত্র চাকমাকে বলেছেন, চালিয়ে যাও ব্রো! লাঠি লাগলে লাঠি নাও! 

কেন এমন আহবান জানতে চাইলে সার্জনকে এক মুখপাত্র বলেন, কারও ঠ্যাং ভাঙলে তো আমাদেরই লাভ! ভাঙা ঠ্যাং নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসবে। আমাদের কিছু আয় ইনকাম হবে। এক্সরে করেও কিছু আয় হবে! খারাপ কী!  

সর্বমিত্রকে ধন্যবাদ দিয়ে অন্য এক সার্জন বলেন, আমাদেরকে নিয়ে তেমন কেউ ভাবে না! সর্বমিত্র ভেবেছে দেখে ভালো লাগছে। অন্তত কিছু লোক ভাঙা ঠ্যাং নিয়ে আসলে আমাদের বউ-বাচ্চারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে! 

অন্যদিকে এই বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জনরা। তারা বলেন, এই গরিবরাও আর ভাঙা ঠ্যাং নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যাবে না! চলে আসবে ঢাকা মেডিকেল। এরপর সব কষ্ট করতে হবে আমাদের, তাও ফ্রিতে। আমাদের কাজের চাপ বাড়বে! কী দরকার মারামারি করার। যদি মারামারি করেনও তাহলে হকাররা যাতে প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় ঢাকা মেডিকেলের আশেপাশে ঠ্যাং না ভেঙে পিজি হাসপাতালের আশেপাশে ঠ্যাং ভাঙ্গলে! এতে আমাদের উপর চাপ কমবে!

পঠিত ... ৯ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে

Top