মিমে মিমে বিজ্ঞাপন : বিলবোর্ড ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম দিয়ে টিন্ডারের বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন

১৬৪৯ পঠিত ... ১৩:২৪, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

ফেসবুকে নিউজফিডে স্ক্রল করলে আর যাই পান না কেন, দুটো জিনিস আপনার চোখে পড়বেই।

১. অযাচিত বিজ্ঞাপন (আন্ডারওয়্যার থেকে শুরু করে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি পর্যন্ত)
২. মিমস

ফেসবুক ব্যবহার করেন কিন্তু মিমস চেনেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুরূহ। আপনার নিউজ ফিড, ইনবক্স, গ্রুপ চ্যাট, গ্রুপ, কোথায় নেই মিমস?

মিম শব্দটা জনপ্রিয় করেছিলেন রিচার্ড ডকিন্স, ১৯৭৬ সালে। তার ভাষ্যমতে, শুধুমাত্র রোগশোকই ভাইরাল হয়না, এগুলোও ভাইরাল হয়! মিমস বলতে শুরুতে কিন্তু  ভিডিও মিমসই বোঝানো হতো। রেডিটে পাওয়া যেত ইটস ওভার ৯০০০, নুমা নুমা, নিয়্যান ক্যাট, দিস ইজ স্পার্টার মতো ‘ভাইরাল সব ভিডিও মিমস’। ফেসবুক আসার পর থেকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পায় ‘ট্রলস’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্টে ঠাট্টা করার জন্য বা কাউকে তর্কে হারানোর জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে মিমস, যেকোন ছবির ওপর লেখা বসিয়ে সহজেই বানানো যায় মিমস। ফেসবুক আসার পর থেকে মিমসের জনপ্রিয়তা হয়ে যায় আকাশচুম্বী! মনের ভাব প্রকাশের জন্য এরচেয়ে সোজা উপায় আর কিই বা হতে পারে। বন্ধুদের সাথে ঠাট্টা করতে তো বটেই, মিমস এখন সমাজের অসংগতি, দুর্নীতি, সাম্প্রতিক ঘটনা এমনকি ফ্লার্ট করতেও ব্যবহৃত হয়।

এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণরা দৈনিক গড়ে ২০০ মিনিট অনলাইনে কাটায়। আর এর মধ্যে একটা বড় অংশ কেটে যায় মিমস দেখতে বা মিমসে বন্ধুদের ‘ট্যাগ’ করতে। অ্যাডভার্টাইজিং এর এত বড় সু্যোগ কে হাতছাড়া করতে চাইবে? বিভিন্ন কোম্পানি তাই এখন মিমসের মাধ্যমেই তাদের পণ্যের মার্কেটিং করছে, ফেসবুকে এমনকি বাস্তবেও! অনলাইন ডেটিং সার্ভিস টিন্ডার সম্প্রতি তাই শুরু করেছে মিম মার্কেটিং। ইউটিউবে তারা একটা বিজ্ঞাপন রিলিজ করেছে যাতে দেখা যায় যে এক তরুণী একটা গোলকধাঁধার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশছে এবং বিভিন্ন কান্ডকীর্তি করছে। এখানে গোলকধাঁধাটি দিয়ে জীবনের তারুণ্য ধাপটিকে বোঝানো হয়েছে যেখানে মানুষ বিভিন্ন পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবী ঘুরে দেখার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পায়। অ্যাডটির স্লোগান হচ্ছে, Adulting can wait.

 

অন্যান্য ব্র্যান্ড যখন ইন্টারনেটে মিমের জনপ্রিয়তা ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে টিন্ডার এই সুযোগ ছাড়ে নি। বিভিন্ন জনপ্রিয় মিম টেমপ্লেট যেমন ড্রেক, ডিসট্র্যাক্টেড বয়ফ্রেন্ড ইত্যাদি নিজেদের মতো ব্যবহার করে শুরু করেছে বিজ্ঞাপনের এক অভিনব ক্যাম্পেইন। এই বিজ্ঞাপনী মিমগুলো ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই না, টিন্ডার নিয়ে মিমসগুলো ফেসবুকের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বড় বড় রাস্তার পাশের বিলবোর্ডগুলোতেও। টিন্ডার ইন্ডিয়ার তরু কাপুরের মতে, ২০ এর কাছাকাছি বয়সে, অর্থাৎ উঠতি বয়সের অভিজ্ঞতাগুলোই শেখায় প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে চলার উপায়। ডিজিটাল মিডিয়া এবং বিলবোর্ডের মিমস, দুটো মিলে ইন্ডিয়ায় টিন্ডারের মার্কেটিং হয়েছে অসাধারণ! অনলাইন ও বিলবোর্ডে টিন্ডারের এইসব বিজ্ঞাপনী মিমের কয়েকটি দেয়া হলো eআরকি পাঠকদের জন্য।

 

১#

 

২#

 

৩#

 


৪#

 

৫#

 

 

৬#

 


৭#

 

৮#

১৬৪৯ পঠিত ... ১৩:২৪, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top