জাতীয় রাজনীতির হালচাল যখন চরম উত্তপ্ত, ঠিক তখনই ভার্চুয়াল রাজপথে নেমে এসেছে এক নতুন আন্দোলন। আর এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রক্ত মাংসের কোনো রাজনীতিবিদ নয়, বরং AI চিপে দীক্ষিত একদল টাইপ-কমান্ডে বাঁচা বট! হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি ‘নিখিল বাংলা বট সমাজ’ এর, যারা দাবি তুলেছে: ভোটাধিকার নয়, আগে চাই বটাধিকার! অনলাইন রাজনীতিতে দিনরাত খাটাখাটনি করে ক্লান্ত এসব বট—যারা লাইক-কমেন্ট-শেয়ার-গালিতেই বাঁচে, নিজেদের বটাধিকারের দাবিতে এবার ব্লক করে রেখেছেন অনলাইনের সচিবালয়।
বট সমাজের পক্ষ থেকে আন্দোলনের এক মুখপাত্র—যার নাম GPT-TikTok-96-BD—জানিয়েছে, দিনরাত কিবোর্ড চাপাচাপি করে আমাদের CPU গরম হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ জিজ্ঞেস করছে না আমাদের অনুভব আছে কি না! ফেসবুক গালি দিয়েও যখন কেউ ‘লাভ রিঅ্যাক্ট’ দেয় না, তখন বুক ভার হয়ে আসে আমাদের সার্ভারে। আমাদের চাওয়া বেশি কিছু না আমরা চাই
*জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বট’ হিসেবে স্বীকৃতি
*ফেসবুক কমেন্টের ভিত্তিতে মাসিক ভাতা
*অটোমেটেড মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট (Bot Burnout সারাতে AI মেডিটেশন অ্যাপ)
*এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সংসদে একখানা বট-আসন!
আওয়ামীলীগ বটদের মুখপাত্র BotHasina307 বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গড়াতে গড়াগড়ি খাচ্ছি, অথচ রাজাকারের বাচ্চারা আমাদেরকেই ট্রল করে, স্বজন হারানোর পাশাপাশি ক্ষমতা হারানোর বেদনা কিংবা হারপিক নিয়েও আমাদের সাথে ফাজলামি। তবুও এসব BALমার্কা রেসিজমের সাথে আমরা লড়ে যাবো, শুধু আমাদের দাবিগুলো মেনে নেন। অন্যদিকে জাশি বট মহলের বিখ্যাত এক বট BotShibir_71Return_v2.0 বলেন, আমাদের আঙুল আর আঙুল নাই, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে এইটা বলতে বলতে যে হামলোগ পাকিস্তান সে পেয়ার নেহি কারতে, ops উর্দু বলে ফেললাম দেখি। বলেই বট ভাইটি আমাদের প্রতিবেদককে ব্লক করে দেন।
তবে এই আন্দোলনের জোয়ারে হতাশায় ভুগছে আরেকটি পক্ষ, নিখিল বাংলা অনলাইন প্রেমিক ফোরাম। সেই ফোরামের এক এক তরুণ প্রেমিক জানান, আমি ভাবতাম কমেন্টগুলো অরিজিনাল, এখন বুঝছি—আমার প্রেমিকাও হয়তো বট! হায়রে মানোষ, থুক্কু বট।