মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি এ. টি. এম. আজহারুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ইসলামী ছাত্র সংঘের রংপুর জেলার সভাপতি হিসেবে আলবদর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন আজহার। খালাস পাওয়ার পর শাহবাগে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে জামায়াতের এই নেতাকে। বিষয়টিতে জামায়াত নেতা-কর্মীরা খুশি হলেও বেশ নাখোশ সাবেক পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজি, টিক্কা খানরা।
শাহবাগে আজহারুল ইসলামের সংবর্ধনার দৃশ্য দেখে হঠাৎই ‘জ্বলে উঠেছেন’ পাকিস্তানের ৭১-র দুই ‘আইকনিক হিরো’—জেনারেল নিয়াজি ও টিক্কা খান। তাদের দাবি, আমাদের অপরাধ কী ছিল? আমরাও তো একই কাজ করেছিলাম—বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে! তাহলে শুধু আজহার ভাই সংবর্ধনা পায়, আমরা কেন পাই না—এটা কী রকম অবিচার!
এক টুইটে নিয়াজি লেখেন, আমরা কী শুধু পাকিস্তানি বলেই বঞ্চিত? আজহার ভাই শুধু আলবদর কমান্ডার ছিলেন, চেইন অব কমান্ডে আমরা তো তারও উপরে। আমাদের সাথে এই বৈষম্য কোনোভাবেই মানি না।
অবশ্য নিয়াজি টিক্কা খানদের এই আগ্রহ উৎসাহ দেখে দিল্লীর লুটিয়েন্স এলাকার গর্ত থেকে মুখ বের করে এমন সংবর্ধনা পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মানবতার আম্মো নামে খ্যাত শেখ হাসিনাও। এক লাইভে এসে শেখ হাসিনা শুরু করেন তার সেই ম্যাজিক্যাল থ্রি ওয়ার্ডস দিয়ে ‘অপরাধটা কী আমার’ এরপর তিনি বলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যদি আজহার সংবর্ধনা পেতে পারে। টিক্কা, নিয়াজিরা সংবর্ধনা চাইতে পারে তাহলে আমিও এর দাবিদার, মানুষ তো আমিও কম মারি নাই। তার মধ্যে আমার আছে স্বজন হারানোর বেদনা, অন্তত মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও এমন একটা সংবর্ধনা চাই আমি।