ভারত ও পাকিস্তানে চলছে যুদ্ধ, এদিকে ঢাকার বাজারে শুরু হচ্ছে ‘স্বজনপ্রীতি মূল্যবৃদ্ধি’। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতেই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মানবিকতা যেন হঠাৎ ফেটে পড়েছে। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, এই যুদ্ধের খরচ আমরা বহন করব। যদিও যুদ্ধ হচ্ছে সীমান্তের বহু দূরে, তবুও আমাদের হৃদয়ে ও মুনাফায় তা খুব কাছে।
এ প্রসঙ্গে এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আমরা অতীতেও যুদ্ধের সময় মানুষকে সাহায্য করেছি। যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আমরা লবণ, ডিম, চিনি—সবকিছুর দাম দ্বিগুণ করে মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। এখনও আমরা প্রস্তুত।
অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, যুদ্ধ তো আমাদের প্রতিবেশী দেশেই হচ্ছে। আমরা এগিয়ে না গেলে কারা যাবে? তাই আমরা যুদ্ধের বোঝা ভাগ করে নিচ্ছি। সরকার না বললেও, আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি—স্বেচ্ছায়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এই ‘আন্তর্জাতিক সহমর্মিতা’ আগেও দেখা গেছে। যুদ্ধ, অগ্নিকাণ্ড—যেকোনো কিছুই তাদের মূল্যবৃদ্ধির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
ভবিষ্যতে মঙ্গলে যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কত হবে, এমন প্রশ্নে এক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, দাম কত হবে সেটা নির্ভর করছে মঙ্গলের পরিবহন খরচের উপর। তবে নিশ্চিত থাকেন, আমরা পিছিয়ে থাকব না।