মোনালিসা দেখতে গিয়ে যেবার একদম রাস্তায় চলে গেলাম

৭৮৯০ পঠিত ... ০৮:৪৪, মার্চ ২৪, ২০১৭


প্যারিসে গেলে লুভর মিউজিয়ামে যাওয়া নিয়ম। বিশেষ করে মোনালিসা দেখে না আসা অপরাধের মধ্যে পড়ে। তাতে মোনালিসাকেও অপমান করা হয়। তাই প্যারিসে গেলেই মোনালিসাকে দেখে আসতে হয়। মোনালিসার বাস লুভর মিউজিয়ামে।

মোনালিসার সামনে গিয়ে দেখা হয়ে গেল গায়িকা বান্ধবী বিয়ন্সের সাথে
একদিনে লুভর দেখা সম্ভব না। সাত দিনে দেখা সম্ভব এ কথাও বলা যায় না। আমার হাতে সময় মাত্র এক দিন। সে কারণেই সবার আগে লুভরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল মাথায়, লুভরে ঢুকলামও সবার আগে। পুরো লুভর হেঁটে হেঁটে দেখতে হলে প্রচুর প্রাণশক্তির প্রয়োজন। তাই ভাবলাম, আগে কিছু খেয়ে নিই। খাওয়ার ব্যবস্থা আছে সেখানে। উদরপূর্তি করে ভাবলাম, এবার তাহলে লুভর দেখা হোক। যেখানে বসে খেলাম তার ঠিক পাশে ছোট একটা সিঁড়ি। কোথা থেকে লুভর দেখা শুরু করব, মোনালিসা আগে দেখব না পরে—এসব ভাবতে ভাবতে সেই ছোট সিঁড়িটা দিয়ে ওপরে উঠলাম কিছুটা। তারপর দেখলাম আরেকটা সিঁড়ি। সেটা দিয়ে খানিকটা ওপরে উঠতেই একটু বেশি শীত করতে লাগল। ভেতরে তো এতটা শীত লাগার কথা না। ভাবলাম এখানে মনে হয় বিশেষ কোনো চিত্রকর্ম রয়েছে। সেই আগ্রহে আরেকটু এগিয়ে যেতেই খোলা এক চত্বরে চলে এলাম। আর নিজেকে আবিষ্কার করলাম লুভরের বাইরে। নিজের অজান্তে আমি আসলে লুভরের জরুরি নির্গমনের সিঁড়ি দিয়ে বাইরে চলে এসেছি। এর মাধ্যমে রচিত হলো আরেকটি ইতিহাস। লুভরে সবচেয়ে কম সময় থাকা দর্শনার্থীদের মধ্যে আমার অবস্থান সম্ভবত শীর্ষে।

তারপর? আবার লাইনের শেষ খুঁজে পেলাম লুভরের একদম বাইরের রাস্তায়। আমি যখন দাঁড়ালাম, আমার সামনে তখন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। কে জানে দ্বিতীয়বার লাইনে দাঁড়ানো মানুষের মধ্যেও হয়তো আমিই ছিলাম প্রথম।

৭৮৯০ পঠিত ... ০৮:৪৪, মার্চ ২৪, ২০১৭

আরও

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top