হিমু এবং কয়েকটি নীল করোনা : চতুর্থ পর্ব

২৫৭০ পঠিত ... ১৯:০৪, এপ্রিল ০৮, ২০২০

অলংকরণ: তাইসির

 

১.
এই মুহূর্তে আমি সূর্যের চেয়ে বালি গরম অবস্থার মধ্যে আছি। মাজেদা খালার চেয়ে আমার সামনে দাঁড়ানো এই মেয়ে আরো গরম।

এ নাকি মাজেদা খালার মেজো ননদের মেয়ে। ময়মনসিংহ মেডিকেলে পড়ে। খালি পায়ে হাঁটাহাটি করে এসে আমাকে ঘরে ঢুকতে দেখে আমার উপর বিরাট ঝাড়াঝাড়ি শুরু করে দিয়েছে।
: আপনি হিমু?
: জ্বি, আমি হিমু, আপনি শিমু?
: আপনাকে বলেছি আমার নাম শিমু?
: না, বলেননি। অন্ত্যমিল রেখে বললাম।
: শুনুন হিমু সাহেব, আপনার এসব খেলা আমার সাথে খেলবেন না। আপনি আমাকে আগে দেখেননি, কিন্তু আপনাকে আমি চিনি।
: কি সৌভাগ্য! (আমার কন্ঠে আহ্লাদী ভাব)
: সৌভাগ্যের কিছু নেই। দুর্ভাগ্য বলতে পারেন। আমি যে ক'দিন বাসায় আছি, সে কয়দিন আপনি খালি পায়ে হেঁটে এসে এ বাড়িতে ঢুকতে পারবেন না।
: জ্বি আফামনি...
বলে আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার বিখ্যাত বিভ্রান্তি তৈরির হাসি দিলাম।

হাসি বিফলে গেছে। মেয়েটা বিভ্রান্ত হয়নি! আমি একটু অবাক হলাম। মেয়েটা আরো রুক্ষস্বরে বললো,
: আমার নাম সাব্রিনা। আপনি জুতা পরুন বা পলিথিন পরুন খালি পায়ে হাঁটবেন না রাস্তায়।
: আপনি কি IEDCR এর মহাপরিচালক?
: না, হিমু সাহেব। জেনেশুনে ফাজলামো করছেন জানি। আজ ক্ষমা করলাম। এ কাজটা আর করবেন না। আমি সেই সাব্রিনা নই। উনি ওখান থেকে পড়ে ডাক্তার হয়ে গেছেন, আর আমি ডাক্তার হওয়ার জন্য এখনো পড়ছি।
: জ্বি জ্বি... (আমি চুপচাপ হয়ে গেলাম)
: আপনি কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন।
: জ্বি, বিরাট ভয় পাচ্ছি।
: কেন জানতে পারি?
: সাব্রিনা নাম শুনলেই ভয় পাচ্ছি আজকাল। একজন সংবাদ সম্মেলনে এসে 'তিন' বললেই ভয় পাচ্ছি, আর আপনি দেশের এমন সময়ে মেডিকেলে আপনার ইন্টার্নশিপ করতে অরাজি জানিয়ে বাসায় এসে আমাকে জুতা পরার জ্ঞান দিচ্ছেন বলে ভয় পাচ্ছি।

ভয়ানক ডোজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সাব্রিনা একেবারে চুপ! মজা লাগছে। সাব্রিনা যেতে যেতে ডোজের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিলাম। বললাম, 'ওরে বাটপার!'

নিজ কক্ষে ঢোকার আগে সাব্রিনা আমাকে একটা দৃষ্টি দিল।এই দৃষ্টির নাম আমি দিয়েছি 'সোফানিসবা দৃষ্টি'।

২.
আমার রুমে গিয়ে ঢুকতেই দেখি আমার আগে বাদল জায়গা করে নিয়ে বসে আছে। বিরাট একটা হার্ডবোর্ড বাদলের হাতে। তার উপরে বড় একটা কাগজ। তাতে একটা সমীকরণ লেখা বিশাল বড় করে- 1.q7+6=13.
এর নিচে বাদল নানারকমের হিসেবও কষছে। সমাধান করছে নাকি শুদ্ধি পরীক্ষা করছে, সেটা পরিষ্কার না। পাশে আমার উপস্তিতি টের পাওয়া মাত্র বাদল খুশি খুশি ভাব নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, 'হিমু ভাইয়া, এই লোকটা কি ব্রিলিয়ান্ট দেখেছো!'
: কোন লোকটা?
: আরে এই যে। এই ইকুয়েশনটা যার। মুফতি ইব্রাহীম! বিরাট কাবিল লোক। করোনাভাইরাসের সমাধান দিয়েছে এক ইকুয়েশনে! এটা নাকি গোমূত্রের চেয়েও বেশি কার্যকরী!
: হ্যাঁ?
: আরে হ্যাঁ, তুমি তো খোঁজ খবর কিছুই রাখো না। এই লোকের এক পরিচিত লোক, ইতালির মামুন মারুফ করোনাভাইরাসের ইন্টারভিউ নিয়েছে!

আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। বাদল গাধাটার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা আসলেই জলে গেছে। ইউনিভার্সিটি পড়ে এখন সে করোনা ভাইরাসের ইন্টারভিউয়ের গালগল্প বিশ্বাস করছে। আমি বাদলকে কড়া ধমক দিতে গিয়েও দিলাম না। ছেলেটা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে বিষয়টা বলছে। আমি ওকে আরও উৎসাহ দেবো বলে মনস্থির করলাম। মন ভাঙা আর মন্দির বা মসজিদ ভাঙা নাকি সমান। এই মুহূর্তে আমি সেই ভাংচুরের মধ্যে না গিয়ে একটু সহনশীলতার ভাব নিলাম, যদিও সেখান থেকে করোনা ভাইরাসের ইন্টারভিউ নেয়া বা গোমূত্র পানে করোনা দূরীকরণের মতো ভয়াবহ তথ্য বেরোচ্ছে!
মামুন মারুফ গাধাটা কে?
: গাধা বলছো কেন হিমু দা! বিরাট কাবিল লোক।
: শোন বাদল, প্রথমত দুনিয়ার যাবতীয় লোক কাবিল লোক না। দ্বিতীয়ত, বারবার কাবিল কাবিল না বলে ঘটনার মধ্যে আয়। এই গাধাটা কে?
: ইতালি থাকে হিমু দা। আড়াই ঘন্টা করোনাভাইরাসের ইন্টারভিউ নিয়েছে।
: শুনেছি, তারপর বল।
: সেই লোক এই স্বপ্ন বলার জন্য বেছে নিয়েছে মুফতি ইব্রাহিমকে...
আমি বাদলের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললাম, 'আর তিনি সেই স্বপ্ন থেকে এই করোনা দূরীকরণ ইকুয়েশন পেয়েছেন?'
: হ্যাঁএএ!!
: ওরে বাটপার!
: বাটপার বললে কেন হিমু দা?
: কিছু না। এই ইকুয়েশনের কথা বাসায় কাকে কাকে বলেছিস?
: বাবাকে বলেছি আর কাজের মেয়ে জমিলাকে।
: ফিডব্যাক কী?
: জমিলা বলেছে, 'কোন শু****বাচ্চা এইগুলা আপনারে বলে বাদল ভাই?'
আমি ভীষণ কষ্টে হাসি চেপে বললাম, 'আর খালু?'
: বাবা একটু ঝামেলা করে ফেলেছে।

দেখলাম বাদল আমতা আমতা করছে। কাহিনী তো কিছু ঘটেছে। সামথিং ইজ ভেরি রং...
: কী হয়েছে খুলে বল তো বাদল!
বাদলের কাছে ঘটনা যা শুনলাম তাতে আমি বিস্মিত এবং হতভম্ব।

ঘটনার সারসংক্ষেপ এই যে, বাদলের কাছ থেকে করোনা দূরীকরণ ইকুয়েশন এবং সে সংক্রান্ত বিস্তারিত শোনার পর ব্যাপারটা খালুর খুব মনে ধরেছে। তার উপর তিনি হালকা মদ্যপ ছিলেন, এটাও প্রধান কারণ হতে পারে। মুফতি ইব্রাহিমের এই থিওরি কর্ণদ্বয়ে প্রবেশ করা মাত্র ভীষণ ড্রাংক খালুকে আবেগাপ্লুত করে ফেলে।

এগুলার কোনটাই সমস্যা না। সমস্যা হলো, ইকুয়েশন পাওয়া মাত্র তিনি মুহূর্ত দেরি না করে চারতলার 4-D ফ্ল্যাটে সুরঞ্জিত সেন সাহেবের বাসায় যান। ভদ্রলোক বৃহৎ করদাতা ইউনিট এর যুগ্ন-সচিব।
চারতলায় গিয়ে খালু দরজার বাইরে থেকেই মুফতী ইব্রাহিমের এই 'মহান' আবিষ্কারের কথা জানান এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নিয়ে মুমিন হয়ে এই আসন্ন করোনা থেকে পরিবার সমেত বেঁচে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। বিপরীতে সুরঞ্জিত সাহেব খালুকে এক বাটি গরুর মুত অর্থাৎ গোমূত্র খাইয়ে জন্মের মত করোনা সারিয়ে দেয়ার 'অফার' দেন! পরবর্তীতে মাজেদা খালা এবং সুরঞ্জিত সাহেবের স্ত্রী দুজনের যৌথ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কি আশ্চর্য!
: হিমু দা, রাতে একটা জায়গায় যাব। যাবে?
: কোথায়???
: একটা আন্ডারগ্রাউন্ড মাহফিলে।
: হলি কাউউউ!
আমার মুখ আবার হাঁ হয়ে গেল। আজ হিমুর মুগ্ধতা দিবস। বলে কী বাদল! আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড পর্যন্ত ঠিক আছে, আন্ডারগ্রাউন্ড মাহফিল কী জিনিস? আমি মুখের বিস্ময় বিস্ময় ভাব একটু নিয়ন্ত্রণ করে আবার জিজ্ঞেস করলাম, 'এটা কী বিষয় বাদল?'
: এটাও মুফতি ইব্রাহিম বিরাট আবিষ্কার করেছে হিমু দা। মাটির নিচে আরও সাতটা মহাদেশ আছে। সেটা এন্টার্কটিকার ওই সাইডে লুকানো। সেখানে হিটলারও আছে দলবল নিয়ে। যেহেতু করোনার জন্য সরকার ওয়াজ মাহফিল নিষেধ করেছে, তাই মুফতি সাহেব এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে ওয়াজ করেন। উনার তো সমস্যা নাই, ইকুয়েশন আছে...
: ওহহ....

আমি এবার সত্যি সন্দেহে পড়ে গেলাম। গাঁজা বা ইত্যাদি নেশাজাত বস্তু মাজেদা খালার কড়াকড়ির সংসারে বাদলের কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি। মুফতি সাহেবের জন্যও তো হারাম। তাহলে গাঁজাটা খেয়েছে কে? নাকি আমিই খেয়েছি? হয়তো বাদল আমার সামনে নেই। অতিরিক্ত গাঁজা খেয়ে আমি কল্পনা করে নিচ্ছি, বাদল আমাকে এসব বলছে। অবশ্য কমলাকান্তের বাসা হয়ে এসেছি আজ। যে পরিমাণ আফিম কমলাকান্ত খায় তাতে নাসার হাওয়া বাতাসেই আমারও নেশা হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
: হিমু দা, যাবে? কিছু বলছো না কেন??
আমি সজ্ঞানে এলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম, যাবো। সঙ্গে আমার আরো এক বন্ধুকে নেয়ার সিদ্ধান্ত। কমলাকান্ত! কমলাকান্ত পেশায় উকিল। বাসা লক্ষীবাজার এলাকায়। আর এই আন্ডারগ্রাউন্ড মাহফিলের আয়োজন টিকাটুলিতে। বললে আসতে সময় লাগার কথা না..

৩.
আন্ডারগ্রাউন্ড মাহফিলে এই মুহূর্তে বক্তব্য রাখছেন বিশিষ্ট আলেম তারেক সানোয়ার সাহেব। কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে করোনাভাইরাসকে উনি বারবার 'কারিনা ভাইরাস' বলছেন। কমলাকান্ত পেছন থেকে বারবার ফিসফিস করছে,
: সাইফ আলী খান একেবারে জানে শেষ করে দেবে।
: চুপ থাক।
কমলাকান্তকে নিয়ে বিরাট বিপদে আছি। একে তো খুবই সঙ্গত কারণে জীবনে মাহফিলে আসে নাই। এই প্রথম এসেছে, তাও আন্ডারগ্রাউন্ড মাহফিলে! মাথায় টুপি, আর নিচে ধুতির জায়গায় লুঙি পরে সে আবার আরেক কাহিনী করে ফেলেছে। লুঙির গিট্টুটার অবস্থাও সুবিধার না, বেশ ভয় পাওয়ার মতো। যেকোন সময় বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠে যেতে পারে! এদিকে যেইমাত্র তারেক সানোয়ার সাহেব বিরাট চিৎকারে বলছেন, 'ক্যারিনা! আমার ভক্তদের বুঝাইতে পারি না! মুম্মিনদের জন্য এই ভাইইইর‍্যাস নয়'! সাথে সাথে সবাই বলছে সুবাহানআল্লাহ। আর এই কমলাকান্ত গাধাটা বলছে 'জয়শ্রীরাম'! কোন মানে হয়! অথচ বাদল বেশ খোশমেজাজে আছে, মনে হচ্ছে পুরো পরিস্থিতি দেখে সে বিরাট আনন্দিত।

আমি আনন্দে নেই, আতঙ্কে আছি! তবে কপাল ভালো, মুফতি ইব্রাহিমের আগমনের উত্তেজনায় সবাই এত বিভোর যে কমলাকান্তর এইসব কাণ্ড খেয়ালই করছে না।
রাত দুইটার দিকে মুফতি ইব্রাহিম মঞ্চে উঠলেন।
বুঝলাম হুজুর হচ্ছেন আলেম সমাজের অর্ণব বা জেমস টাইপ! তার স্টেজে ওঠার সময়টা মুখ্য নয়, উঠেছেন এটাই মুখ্য! আসলেই হই হই কান্ড রইরই ব্যাপার! চ্যাম্পিয়ন মুরিদরা যেভাবে 'ঝাঁকানাকা দেহ দোলা না' শুরু করে দিয়েছে, তাতে করোনা কোনভাবেই এসব শরীরে আশ্রয় নিতে পারবে না বলেই আমার মনে হলো।

মুফতি ইব্রাহিম মঞ্চে আসন গ্রহণ করলেন এবং করামাত্রই ভানুমতীর খেল শুরু হয়ে গেল। খেলা শুরু করলো আমার বন্ধু কমলাকান্ত।
ঘটনাটা বলি। মুফতি সাহেব স্টেজে আজকে আরেক লোককে সাথে নিয়ে উঠেছেন। সেই লোকের পরনে পিপিই, মুখে মাস্ক। শুধু চশমা পরা চোখ দেখা যাচ্ছে। মুফতি সাহেব বললেন, এই হচ্ছে মামুন মারুফ। বলামাত্র বিরাট চিৎকারে কমলাকান্ত বলে উঠলো, 'ওরে বাটপার!'....

পুরো মাহফিলের মনোযোগ কমলাকান্তের দিকে। চিৎকার মনে হচ্ছে হালকা আল্ট্রাসনিক লেভেলে চলে গেছে। আমার মহাপুরুষ ব্যাক্তিত্ব মুহূর্তেই মহা বিলাইয়ে রূপান্তরিত হয়ে গেছে, সেটা তখন টের পেলাম। আজ শুদ্ধ বাংলায় 'বিলাই ছ্যাঁচা' খাব মনে হচ্ছে।
মুফতি সাহেব বিড়ম্বনার মাঝেও দেখলাম মাইকের সামনে শক্তভাবে বলছেন, "ক্কে কে এই বেয়াদব! সামনে ধরে আনো"

কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম, পেশাজীবনে দক্ষ উকিল কমলাকান্ত ম্যাজিকের মত পরিস্থিতি নিজের হাতে নিয়ে নিল। মুফতি সাহেবের চেয়েও জোর গলায় বললো,
'অর্ডার অর্ডার' (জীবনে উকিল হয়ে অর্ডার বলতে না পারার আক্ষেপ বোধহয় কমলাকান্ত জায়গামত ঝেড়ে দিয়েছে)।

উপস্থিত জনতাকে কমলাকান্ত এরপর আরও ভয়ানক জোর গলায় যা বললো তা হচ্ছে-
মুফতি ইব্রাহিমের সাথে মঞ্চে ওঠা লোকটাকে কমলাকান্ত চেনে! প্রায়ই নাকি জাজ কোর্টে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় ভাড়ার বিনিময়ে। এই লোকের নাম আসলে মামুন মারুফ না, আসল নাম ফকির হোসেন সবুজ! নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়। উপরন্তু এও বলে, তার মামা নাকি আইনমন্ত্রী এবং শ্বশুর বিচারপতি! বিখ্যাত ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থিওরি দিয়ে কয়দিন আগে ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে এই লোক! এর উপরে তাপমাত্রার দেশে নাকি করোনা হয় না।
এখন আবার ভোল পাল্টে ফেলেছে।
কমলাকান্ত নিজে আফিম খেলে কি হবে! জাতে মাতাল তালে ঠিক!
কমলাকান্তের প্রশ্নবান সামলাতে না পেরে আর জেলের ভয়ে মামুন মারুফ নামের ফকির হোসেন সবুজ স্বীকার করেই ফেললো এসব স্বপ্ন সে দেখেনি! মুফতি সাহেব দেখলাম সাউন্ড সিস্টেমের দোহাই দিয়ে দ্রুত স্টেজ থেকে নেমে গেলেন। উপস্থিত লোকজনের মনোযোগ কমলাকান্তের দিকে, আমি আর বাদল অবাক বিস্ময়ে দেখলাম কমলাকান্ত বেহুদা চাপা মেরে যাচ্ছে,
'আসসালামুআলাইকুম ভাইজানেরা, জ্ঞান হইছে থেকে নামাজ কামাই দেই নাই, আর আমি চিনবো না মিথ্যাবাদীরে। আল্লাহর রহমত আজ এই মাহফিলে আপনারা আমাকে পাইছেন!'
উপস্থিত জনতার বিরাট শোরগোল শোনা গেলো, সাথে কমলাকান্তের উদ্দেশে ননস্টপ সুবহানাল্লাহ ধ্বনি!
আমি আর বাদল বেশ জোরেই অস্ফুট স্বরে বললাম, 'ওরে বাটপার!'
(চলবে)

 

আরও পড়ুন: 

হিমু এবং কয়েকটি নীল করোনা : পঞ্চম পর্ব

হিমু এবং কয়েকটি নীল করোনা : তৃতীয় পর্ব

হিমু এবং কয়েকটি নীল করোনা : দ্বিতীয় পর্ব

হিমু এবং কয়েকটি নীল করোনা : প্রথম পর্ব

২৫৭০ পঠিত ... ১৯:০৪, এপ্রিল ০৮, ২০২০

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top