চলছে বায়ুদূষণের সুবাতাস। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের পরিমাপে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্যে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘আ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো–গাঙ্গেয় প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ এর তথ্যমতে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। এমন পারফরমেন্সে ‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস নোবেল’ পুরষ্কার পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশগুলো।
আজ লাহোর তো কাল ঢাকা, পরশু দিল্লি তো তরশু হরিয়ানা। এ এক ভারী কঠিন প্রতিযোগিতা। দেশগুলোর নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফাই ভাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসগুলো তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এয়ারবুকে রীতিমতো পোল তৈরি করেছে তাদেরকে ভোট দিয়ে বাতাসে ধোঁয়া তৈরী করে নিজেদের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য।
বায়দূষণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ হিসেবে কার অবদান সবচেয়ে বেশি এমন বায়ুবিতণ্ডায় মুখর এয়ার বুক। তারা সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে বাতাসে খারাপ বায়ুকণার পরিমান বাড়ানো হয়। রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা বাড়ানোর জন্য। তারা সহযোগিতা চেয়েছে মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে আমলা পর্যন্ত সর্বস্তরে। গৃহিণীদের পাপোশটায় ময়লা, ধুলো জমানোর ও অনুরোধ করে বলেছে, দেশ তো আমাদের সবার। বায়ুদূষণ কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আপনারা সবাই যার যার অবস্থানে আরো সচেতন ভাবে বায়ুদূষণ করে আমাদের নিজ নিজ দেশে চ্যাম্পিয়ন করুন। কোনো উদ্যোগই যেন আমাদের দমাতে না পারে সে ব্যাপারে সব বায়ুকে উদাত্ত আহ্বান জানায় তারা।


