বিপিএলের দলগুলোর ম্যানেজমেন্টে যদি মায়েরা থাকত

১৫০ পঠিত ... ২৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে

আহা, কল্পনা করুন তো! যদি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো এমন ঝকমকে টুর্নামেন্টের কর্পোরেট দায়িত্বে আমাদের মায়েরা থাকতেন, তাহলে কেমন হতো সেই চিত্র? হয়তো মাঠের উত্তেজনা ছাপিয়ে সেখানে বইত এক ঘরোয়া স্নেহ আর কড়া শাসনের মিশ্র স্রোত।

 

১.

নিলামে প্লেয়ারের দাম ৩৫ লক্ষ হাকানো হলে মায়েরা দাম শুরুই করত ৩৫০ টাকা থেকে। এরপর ৫৫০ টাকায় একজন প্লেয়ার কিনে সাথে একজনকে ফ্রি-ও নিত।

 

২.

খেলোয়াড়দের জার্সি সবসময় একসাইজ বড় থাকত। মায়েরা বলত, এক সাইজ বড় কিন, সামনের বছরও পরতে পারবি।

 

৩.

টিম হেরে যাওয়ার পর রাগে-ক্ষোভে মায়েরা বলত, শুধু আমি বলে তোদের এই টিমের সাথে সংসার করে যাচ্ছি।

 

৪.

ব্যাটিং ও ফিল্ডিং করতে নামার সময় ড্রেসিংরুম থেকে আইসক্রিমের বাটিতে করে খাবার দিয়ে দিত। বলতো, খেলার মাঝে ক্ষিদা লাগলে খাইস।

 

৫.

মাঠে ব্যাটিং করতে নামার পর একটু পরপর কল দিয়ে জিজ্ঞেস করবে, কিছু খাইছে কিনা! দুইবার বলবে, আহারে, ছেলেটা কত শুকিয়ে গেছে।

 

৬.

মাঝে মাঝে দেখা যাবে কারও সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে মাঠে হাজির মায়েরা। ব্যাটিং থামিয়ে বলতেছে, তোর বড় মামা আমেরিকা থেকে কল করছে। তোর সাথে একটু কথা বলবে।

 

৭.

শীতকালে সোয়েটার, মোজা, কানটুপি, চাদর, মাফলারের পাশাপাশি একটা জাম্পারও হাতে ধরিয়ে দিবে। বলবে, এইটা পরে থাকবি একদম খুলবি না।

 

৮.

রাত ৮টার পর কোনো খেলা রাখা হতো না। মায়েরা বলতেন, এত রাতে খেলা? চোখের বারোটা বাজাবি নাকি? সকালে তাড়াতাড়ি উঠে প্র্যাকটিস করবি, ভালো করে পড়াশোনা করবি।

 

৯.

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারে ক্রিকেট ব্যাট বা ট্রফির বদলে থাকতো এক ডজন দেশি ডিম, শীতের সবজি দিয়ে ভাত কিংবা মায়ের আলমারির শখের কাচের প্লেট।

১৫০ পঠিত ... ২৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে

Top