দেশের অনেক যুবকদের প্রিয় কণ্ঠশিল্পীর তালিকায় উঠে আসছে জয়া আহসানের নাম

১৬৮ পঠিত ... ১০:৫৩, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

12

সম্প্রতি কোক স্টুডিও বাংলা হতে মুক্তি পেয়েছে 'তাঁতি' গানটি। গানটিতে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের হার্টথ্রব এবং জাতির ক্রাশ জয়া আহসান। অভিনয়ের পাশাপাশি গানের জগতেও এবার তিনি দেখালেন চমক।

৪ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড দীর্ঘ এই গানটির ৩ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের মাথায় জয়া আহসানকে ক্যাটওয়াক করে স্টেজে এন্ট্রি নিতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিলো অফ হোয়াইটের মধ্যে মেরুন রঙের পাড় দেওয়া একটি নান্দনিক শাড়ি। এক হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হেঁটে আসার পর বাকি শিল্পীদের সাথে হাত এবং পা মিলিয়ে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করেন। এরপরই মনোযোগ দেন গানে।

৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের মাথায় তিনি একক কন্ঠে 'ছই' শব্দটি উচ্চারণ করেন। এরপরেই সম্মিলিত কন্ঠে শুরু হয়, 'বইনা গাছের বৈতরণি, ছৈন্না গাছের ছৈ...' আশ্চর্য ব্যাপার হলো, গানের ভেতর শুধুমাত্র 'ছই' শব্দটি শুনেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন আবালবৃদ্ধবনিতা বাঙালি।

এ গানটির ব্যাপারে কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায় আরও বিস্তারিত। ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, 'জয়া আহসান যে এতো চমৎকার গান গাইতে পারেন, তাঁতি না শুনলে কখনোই বুঝতাম না। আমি ক্যাপকাট দিয়ে শুধু জয়া আহসানের একক গলায় 'ছই' অংশটি কেটে নিয়েছি। এখনো আমার কানে 'ছই' বেজেই চলছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে আমার রিংটোন এবং অ্যালার্ম টোন দুটোই 'ছই'...'

শুধু ফাহিম নয়, ফাহিমের মতো অবস্থা আরও হাজার হাজার যুবকের। যারা এতদিন গান শুনতে পছন্দ করতেন না, তারাও ঝুঁকেছেন তাঁতির দিকে। এদিকে যোবায়ের নামের আরেক তরুণ বলেন, ‘কাহিনী বললে তো বিশ্বাস করবেন না। আমার দাদার বয়স ৮৯ বছর। দাদা আমাদের সাথেই থাকেন। একদিন রাতে ঘুম ভেঙে গেলো হঠাৎ করে। দেখি টিভিতে আলো জ্বলছে। দাদু মিউট করে তাঁতি গানটি দেখছেন। আমি দেখেও না দেখার ভান করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম... ’

১৬৮ পঠিত ... ১০:৫৩, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

Top