ফেসবুকে নারী অধিকার নিয়ে করা একটি পোস্টে গালাগালি করতে গিয়েই প্রেমে পড়ে গেছে দুই আলবটর।
ঘটনার শুরুতে এক জন লিখেছিল, তোরে জন্ম দেওয়ার আগে তোরা কনডম দেখছিলি না? আরেকজন জবাবে বলে, তুই তো ভারতের ফেলে যাওয়া গু…র বংশধর! দুজনই ছিল ফেক আইডির পেছনে লুকানো, কাজ— নারী, সংখ্যালঘু, সেক্যুলার আর মুক্তিযুদ্ধপন্থী মানুষদের পোস্টে গিয়ে গালি দেওয়া। কিন্তু এবার গালি দিতে গিয়েই একজন অন্যজনের গালির ছন্দে প্রেমে পড়ে যায়।
পরে ইনবক্সে গিয়ে পরিচয়, তুই কোন জেলার আলবটর? তোর প্রিয় গালি কোনটা? তুই কয়টা আইডি চালাস?—এইসব প্রশ্নের ভেতর দিয়েই গড়ে ওঠে ভালোবাসা। এখন তারা একসাথে গালি দেয়, একসাথে রিপোর্ট করে, একসাথে পোস্টে আগুন ইমোজি দেয়।
সম্প্রতি তারা একসাথে একটি ফেসবুক পেজও খুলেছে—গালি দিয়ে প্রেম করি, যেখানে নিয়মিত লাইভে এসে ক্যামেরা বন্ধ করে তারা একে অপরকে গালি দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করে। তাদের ভাষায়, যে যত বাজে ভাষায় ভালোবাসে, সে ততটাই খাঁটি আলবটর!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘৃণা যখন একসাথে উপভোগ করা যায়, তখন তা প্রেমের রূপ নেয়। এক গবেষক মন্তব্য করেছেন, মতাদর্শ না মিললেও যদি গালির লেভেল মিলে যায়, তাহলে আলগোরিদমও প্রেমে পড়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রেমিক আলবটর বলেন, আমি জানি ও মানুষ না! ও একটা বট। কিন্তু আমাদের দুজনের গালির ধরনে, ভাবনা প্রায়ই একইরকম। একদম একশ একশ মিল। ওর আইডি আর গালাগালির লেভেল দেখেই প্রেমে পড়ে গেছি। জানি সমাজ হয়তো এই প্রেমকে স্বীকৃতি দিবে না। কিন্তু তবু আমরা প্রেম করেই যাব। বিয়ে করব। সন্তান জন্ম দেব। আলবটরের হাত আরও শক্তিশালি করব।
এই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে পড়লে নেটফ্লিক্স বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই প্রেম কাহিনি নিয়ে বানাবে একটি সামাজিক স্যাটায়ারধর্মী সিনেমা; আলবটরের প্রেমকাহিনি: গালি দিলাম, প্রেম পেলাম।