ইসলামী ছাত্রশিবিরের গোপন কার্যক্রম দেখে বিস্মিত হয়ে উঠলেন ইতিহাসের প্রখ্যাত সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার সাম্রাজ্যের ‘গুপ্ত’ ব্র্যান্ডিং তো শতাব্দী ধরে হারিয়ে গিয়েছিল। তোমরা আবার সেটি ফিরিয়ে এনেছো। ধন্যবাদ। তোমরা লাইসেন্স নবায়ন করে রেখো, দরকার হলে আমি সিলমোহর দেব।
পাকিস্তানি জামায়াতি ইসলামির একজন তরুণ গবেষক বলেছেন, আল বদর এর প্রধান নিজামী ৭১ এর ডিসেম্বর এ পাকিস্তানের পরাজয় এর পর সকল আল-বদর কমান্ডারদের বাইরে গিয়ে হিজরত করে আবার পুনরায় দেশে এসে যুদ্ধে যোগ দিতে বলেন। জানা যাচ্ছে, তারা হিজরত করতে গিয়েছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের গোপন আস্তানায়। সেখানে গিয়ে বিশেষ গুপ্ত ট্রেইনিং নিয়ে ছাত্রশিবির নামে দেশে এসে গুপ্তসাম্রাজ্য গোপন রুপে প্রতিষ্ঠা করছে।
এই ব্যাপারে চন্দ্রগুপ্ত বলেন, আমি গুপ্তচর ব্যবহার করতাম রাজদরবারে, কিন্তু তোমরা সরাসরি স্টুডেন্ট সোসাইটিতে ঢুকে পড়ো, ক্লাস করো, চায়ের দোকানে আড্ডা দাও, হাজারটা বট আইডি মেইনটেইন করে নারীদের হেনস্থা করো, মুহুর্মুহু গুজব রটাও। এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর বেশে রাতে গিয়ে বিরোধীমতের রগের যত্ন নাও। অথচ কেউ বুঝতেই পারে না আসলে তোমরা রাজনীতির লোক!
রগের যত্ন নিতে বলে সোলেমান ছন্দনামে এক শিবিরকর্মী গোপন পরিচয়ে জানালেন, আমরা সবকিছু আড়ালে করি: কমিটি নেই, ব্যানার নেই, স্লোগান নেই, শুধু ‘গুপ্ত ভাই’দের নেটওয়ার্ক আছে। অর্থ্যাৎ আমরা যতটা না রাজনীতি করি, তার চেয়েও বেশি সময় ব্যয় করি ‘আমরা নেই’, এটা প্রমাণ করায়।
ইতিহাসবিদরা মন্তব্য করেছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে পাঠ্যবইয়ে 'গুপ্ত সাম্রাজ্য (প্রথম খণ্ড)' এবং 'গুপ্ত সাম্রাজ্য (আলবদর টু শিবির সংস্করণ)', দুইটি আলাদা অধ্যায় যোগ করতে হতে পারে।
এই সময়ে চন্দ্রগুপ্ত গুনগুন করে গান ধরেন, ওপেনে আর প্রেম চলবে না, প্রেম চলিবে গোপনে। প্রেমের কথা জানবে না আর লোকজনে! প্রেমের কথা জানবে না আর লোকজনে