নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজে আজ সকালে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন একদল লোক ‘টেম্পুস্ট্যান্ড অথবা মৃত্যু!’ তারা সবাই ট্রাম্পের বিশুদ্ধ সমর্থক, কেউ MAGA ক্যাপ পরে, কেউ আবার ‘Make Tempo Great Again’ লেখা টি-শার্টে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান প্রার্থী ক্ষমতায় এসেছেন মাস কয়েক আগেই। কিন্তু দলের কর্মী-সমর্থকরা এমন রাগে ফুশছে কেন জানতে চাইলে এক ট্রাম্প সমর্থক বলেন, বাংলাদেশে শুনেছি লোকজন ক্ষমতায় না গিয়েই বাজারের ৩টা দোকান আর ২টা টেম্পুস্ট্যান্ড দখল করে ফেলে! আমরা ক্ষমতায় থেকেও এতটা পিছিয়ে কেন? এমন ক্ষমতা দিয়ে কী হবে, যেখানে আমি নিজের এলাকাতে একটা রিকশা স্ট্যান্ড দখলও করতে পারি না? পারব কীভাবে এসব সুস্থ ধারার রাজনৈতিক কালচারই আমাদের নেই।
রিপাবলিকান পার্টির তরুণ ইউনিটের এক নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে শুনেছি, রাজনৈতিক কর্মীরা ক্ষমতায় আসার আগেই দোকানে চাঁদা তোলে, ফুটপাত দখল করে আর যাত্রীদের উপর সর্দারি চালায়। আর আমাদের এখানে দেখেন কেমন নিরস সবকিছু, এই যদি হয় রাজনীতির অবস্থা আমরা ছাত্ররা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে ঢোকার আগ্রহ রাখব কীভাবে।
পুরো আমেরিকা জুড়েই এখন আন্দোলনের ঢেউ। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, টেক্সাস—যেখানে যেখানে ট্রাম্পের ভোট বেশি পড়েছে, সেখানেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ‘No Stand, No Peace!’ থেকে শুরু করে ‘Tempo Stand or Death!’— এমন সব ব্যানারে রাস্তাঘাট কাঁপছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে এক নতুন ট্রেন্ড: #StandForStand। কেউ কেউ আবার বিষয়টি বুঝতে না পেরে ছবি দিচ্ছেন নিজের পুরনো সাইকেল স্ট্যান্ডের।
রিপাবলিকান পার্টির এক সিনিয়র নেতা জানান, ইতোমধ্যেই দলে ‘টেম্পু এফেয়ার্স অ্যান্ড স্ট্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ নামে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের নিজস্ব পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, এটা গণতন্ত্রেরই অংশ। যারাই ক্ষমতায়, টেম্পুস্ট্যান্ড তাদের। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, রিপাবলিকানদের দাবির মুখে হোয়াইট হাউস এক পর্যায়ে 'ট্রায়াল বেসিসে' কিছু জায়গায় টেম্পুস্ট্যান্ড বসানোর প্রস্তাব বিবেচনা করছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা এর কড়া বিরোধিতা করে বলেছে, আপনারা শুধু নিজেদের জন্য টেম্পুস্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করলে হবে না ১০% আমাদের জন্যেও রাখতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রিপাবলিকানদের এই দাবির মধ্যে দিয়ে আমেরিকান রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে—টেম্পুক্রেসি। ভবিষ্যতে হোয়াইট হাউসের পাশেই একটা ‘মডেল টেম্পুস্ট্যান্ড’ স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।