ভাসা ভাসা ভাষা নিয়ে ২০টি কৌতুক

১৩৮৮০ পঠিত ... ০৮:৩৮, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭

#১

আমেরিকার এক নেতা গেছেন আফ্রিকার এক জঙ্গলে। সেখানকার মানুষ ইংরেজিতে ‘ক-অক্ষর গো-মাংস’। তার পরও নেতা সবার সামনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। সঙ্গে রইল একজন দোভাষী। বক্তব্য শেষ, লোকজন কিছু বলে না। তাই নেতা ঠিক করলেন, একটা কৌতুক বলে সবাইকে মজা দেবেন। ঝাড়া ১০ মিনিট ধরে খুব মজার একটা কৌতুক বললেন তিনি। দোভাষী সেটা মাত্র চার শব্দে সবার কাছে বর্ণনা করলেন। বর্ণনা শেষ হতেই সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি! ভীষণ অবাক নেতা দোভাষীর কাছে জানতে চাইলেন, ‘মাত্র চার শব্দে কৌতুকটা শুনিয়ে দিলেন, আর সবাই সেটা বুঝলও?’ দোভাষীর জবাব, ‘গল্পটা এত লম্বা ছিল যে, সবাইকে বললাম, তিনি একটা কৌতুক বলেছেন, সবাই হাসুন!’

 

#২
কার্টুন: জুনায়েদ

 

#৩

মেক্সিকান এক ডাকাত ডাকাতি করেছে টেক্সাসের এক হোমরাচোমরা নেতার বাসায়। নেতা সে সময় ছিলেন বাইরে। সব শুনে ছুটলেন ডাকাতের পিছু পিছু। টেক্সাসের সীমান্তে একটা পানশালায় ডাকাতটাকে দেখলেন তিনি। বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন তাকে ধরতে। ধরেই ইংরেজিতে হুমকি, ‘ব্যাটা, আমার মালপত্র কোথায় রেখেছিস? ভালো মানুষের মতো বলে ফেল, নয়তো ঠুস!’ ডাকাত ইংরেজির ‘ই’-ও বোঝে না। পানশালায় ইংরেজি-স্প্যানিশ—দুই ভাষাই জানে এমন একটা লোক বসে ছিল। সামনে এসে বলল, ‘আমি ওকে বুঝিয়ে বলছি, শান্ত হোন আপনি।’ বলেই স্প্যানিশ ভাষায় সব বুঝিয়ে বলল সে ডাকাতকে। ভয়ে ডাকাতটা মালপত্র কোথায় রেখেছে না রেখেছে সবকিছু বলে দিল। টেক্সাসের নেতা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী বলে?’ উদাস উদাস ভাব নিয়ে লোকটা বলল, ‘ডাকাত বলল, ব্যাটা গাধা, তুই আমাকে মারতে পারবি না! আমিই মারব তোকে!’

 

#৪

—দীর্ঘসূত্রতা কী, ব্যাখ্যা করুন।
—উত্তরটা কাল দিই?

 

#৫

১ম বন্ধু: খুব ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো। প্রথমে এলো অ্যাঞ্জিনা পেকটোরিস, তারপর আর্টেরিওস্কেলেরোসিস! সেটা শেষ হতে না হতেই সোরিয়াসিস, সেটা শেষে হাইপোডারমিকস। এতেও শেষ নয়, টনসিলাইটিসও ছিল, সবশেষে এলো অ্যাপেনডেকটোমি!
২য় বন্ধু: বলিস কী! এসব থেকে পার পেলি তুই শেষমেশ?
১ম বন্ধু: কীভাবে পার পেলাম জানি না, তবে এমন দাঁতভাঙা শব্দের উচ্চারণ এর আগে কোনো ভাইভায় করতে হয়নি!

#৬

বিলু: শুনেছ, লাইব্রেরিতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে!
রঞ্জু: কেন, কী হয়েছে?
বিলু: কেউ একজন ডিকশনারিতে ডিনামাইট খুঁজে পেয়েছে!

#৭

শিক্ষক: জীবনে কয়টা বই পড়েছিস?
ছাত্র: এখনো তো মরিনি, তাই বলতে পারব না!

#৮

‘অভিধান’ শব্দটির মানে জানা না থাকলে সেটি কোথায় খুঁজবেন?

 

#৯

কার্টুন: জুনায়েদ

#১০

চীনা ভাষা জানে, এমন একজনকে খুঁজে বের করলেন নাজমুদ্দিন সাহেব। বললেন, আমাকে সাহায্য করুন। অনেক কষ্টে আপনাকে খুঁজে পেয়েছি। লোকটা বললেন, আমাকে কেন খুঁজছিলেন, বলুন তো?
নাজমুদ্দিন: আমার এক চীনা বন্ধু ছিল, নাম তার চিং হোয়াই। ওর আর আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব হলেও আমি চীনা ভাষা জানি না। চিং হোয়াইও চীনা ভাষা ছাড়া আর কোনো ভাষা জানে না। কয়েক মাস আগে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল চিং। ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি, বেচারার করুণ হাল। নাকে-মুখে অক্সিজেনের নল লাগানো। আমাকে কাছে পেয়েই ও কাতর হয়ে উঠল, বলল, ‘লি কায় ওয়াং কি গুয়ান', বলতে বলতেই বেচারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। এদিকে আমি তো চীনা ভাষা জানি না। বন্ধুর শেষ কথার অর্থ উদ্ধার করতে আমি দিনের পর দিন ঘুরে বেড়িয়েছি। এখন আপনিই আমাকে এই মনঃকষ্ট থেকে উদ্ধার করতে পারেন। বলুন, এর অর্থ কী? কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে বললেন চীনা ভাষা অনুবাদকারী, এর অর্থ হলো, ‘অক্সিজেনের নলটার ওপর থেকে সরে দাঁড়াও!'

#১১

চট্টগ্রামে সেবার ধান খুব ভাল হয়েছে। সদ্য বদলি হওয়া একজন কৃষি কর্মকর্তা স্থানীয় এক কৃষককে জিজ্ঞেস করলেন 'তা আপনার ধান কেমন হয়েছে?'
কৃষক বললো, 'ধান এবারত গম অইয়ে'।
কৃষি কর্মকর্তা তো আকাশ থেকে পড়লেন। তিনি রেগে জিজ্ঞেস করলেন, ‌'‌ধান কিভাবে গম হলো?'

#১২

ঢাকা টু ময়মনসিংহের বাসে একবার ডাকাত পড়ল! ডাকাত দল পুরো বাস তাদের নিয়ন্ত্রণে নিল! এবার শুরু হবে লুটপাট! ডাকাতের সর্দার ইয়া লম্বা একটা ছোরা বের করে ঘোরাতে ঘোরাতে সবাইকে উচ্চ কণ্ঠে বলছে, ‘দিয়া হালাইন গো, যা আছে সব দিয়া হালাইন!!’
সবাই যার যা আছে বের করে দিতে শুরু করল! এক লোক তাঁর টাকা-পয়সা সব দিতে দিতে ‘দিয়া হালাইন’ কথাটা শুনে আর হাসি ধরে রাখতে পারছিলেন না! হেসেই ফেললেন! তখন ডাকাতের সর্দার তাঁর হাসি দেখে চোখ গরম করে বলে উঠল, ‘দিয়া আবার হাসুইন? এক্কেরে কাইট্টা হালবাম!’

#১৩

এক বুড়ি ময়মনসিংহের বাসে উঠেছে! বাসে উঠেই সে হেল্পারকে বলল, ‘ভালুকা আইলে আমারে কইয়েন যে!’
হেল্পার তাকে আশ্বস্ত করে বলল, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে।’
বাস চলতে শুরু করল! বুড়ি দুই মিনিট পরেই হেল্পারকে বলল, ‘ভালুকা আইছে?’
হেল্পার উত্তরে ‘না’ বলল! কিন্তু বুড়ি দুই মিনিট পর পর হেল্পারকে এই প্রশ্ন করতে লাগল! হেল্পার ও বাসের যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে বুড়িকে ধমক দিল! বুড়ি তখন ভয়ে চুপ।
এদিকে বাস চলতে চলতে ভালুকা ছাড়িয়ে সামনের স্টপেজের মাঝামাঝি চলে এল। তখন হেল্পারের মনে পড়ল যে বুড়িমা তো ভালুকার কথা বলে রেখেছিল! বাসের সব যাত্রী তখন হেল্পারকে বকাঝকা করে বাস ঘোরাতে বলল। তো বাস আবার ঘুরিয়ে ভালুকায় এল। হেল্পার বুড়িকে বলল, ‘বুড়িমা, ভালুকা আসছে! আপনে নামেন!’
বুড়ি চোখ কুঁচকে জবাব দিল, ‘নামমু কে? ডাক্তার আমারে ডাহাত্তন (ঢাকা থেকে) একটা টেবলেট খাওয়াইয়া কইছে ভালুকায় গিয়া আরেকটা খাইতে! আমি এখন টেবলেট খাইবাম! পানি দেন!’

#১৪

প্রথম দিন পড়াতে গিয়ে স্বভাবতই জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার নাম কী?’ লাজুক হেসে মেয়েটি বলল, ‘জি, মিচ্চোনিয়া!’
ঠিক বুঝলাম না। ফের জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী নাম বললে?’
‘মিচ চোনিয়া চার। চো-নি-য়া। চাবরিনা চিদ্দিকা চোনিয়া।’
‘ও সোনিয়া! তা সোনিয়া, তোমার দেশের বাড়ি কোথায়?’
উত্তর শুনে ঘটনা পরিষ্কার হলো। পড়াতে শুরু করলাম সোনিয়াকে।
আমি যখন খাতা দেখতাম, সে সময় সে গল্প জুড়ে দিত।

একদিন এমন মনোযোগ দিয়ে বাড়ির কাজ দেখাচ্ছি, সে গল্প শুরু করল, ‘চার, আপনি ভেন্ডের গান লাইক করেন?’
‘ভেন্ডের আবার কী? বলো ব্যান্ডের। হ্যাঁ, করি তো।’‘চার, কোন ভেন্ড আপনার পেবারিট?’
‘নির্দিষ্ট কেউ না। সব ব্যান্ডেরই কিছু কিছু গান ভালো লাগে।’
‘চার, আমার পেবারিট চার, চোলচ। চোলচের পরেস্ট হিলে গানটা চুপার লাগে, চার, প্যানটাচটিক লাগে।’

আরেক দিনের কথা। খাতা দেখছি, কিছুটা উশখুশ করে ছাত্রী বলল, ‘চার, আপনার কোনো অ্যাপেয়ার আচে, চার?’
ওর দিকে শীতল দৃষ্টিতে এক মুহূর্ত তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলাম খাতায়।
সে নাছোড়বান্দা, ‘বলেন না, চার, আচে?’
ধমকের সুরে বললাম, ‘হ্যাঁ, আছে!’
‘হি.হি..হি...! তা বাবির নাম কী, চার?’
রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে কাটাকাটাভাবে বললাম, ‘মাধুরী দীক্ষিত।’
‘ই.হি..হি...! আপনি চার একদম চিরিয়াচ না, শুধু পান করেন। হি.হি..হি...। ওহ চার, বালা কতা, আপনাকে তো একটা কবর দিতে হবে।’
‘কী বললে? আমাকে কবর দিতে হবে? মানে কী?’
‘জি, চার, জরুরি কবর, আগামী ২০ তারিকে আমার ভোনের বিয়ে।’
‘ভোনের নয়, বলো বোনের।’
‘জি চার। চার, কাওয়াদাওয়া কিন্তু কোনো কমিন্টি চেন্টারে হবে না, চাদে হবে।’
‘কী? চাঁদে হবে?’
‘জি, চার, আমাদের চাদে। চার, আপনাকে খাট দেব?’
‘খাট! আমাকে খাট দেবে মানে?’
‘মানে চার, বিয়ের খাট।’
‘হোয়াট? বিয়ের খাট!’
‘জি, চার, দাওয়াত খাট।’
‘ও আচ্ছা! ইনভাইটেশন কার্ডের কথা বলছ তুমি?’
‘জি, চার। চার, জানেন, আমার দুলাভাই না দেখতে টিক ভোম্বের হিরুদের মতন।’
‘ভোম্বে নয়, বোম্বে। আর হিরু নয়, হিরো। তা, উনি দেখতে কোন হিরোর মতন?’
‘হিহিহি...। দেকতে? উনি দেকতে টিক ভোম্বের চালমান কান, চার।’

#১৫

প্যারিসে আসার পর কিছুদিন ফ্রেঞ্চ ভাষা কোর্স করতাম। প্রথম ক্লাসে টিচার (টিচার আবার সেই রকম ফ্রেঞ্চ সুন্দরী) সবার নাম, দেশ ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করছিল। সবাই এক এক করে পরিচয় দিচ্ছিল। আমার দেশ জিজ্ঞাসা করতে আমি বললাম বাংলাদেশ। উনি বললেন ‘দাকো’ (ওকে)। তার মুখে ডাকো শুনতে কিছুটা ‘ঢাকা’ র মত মনে হলো। আমি ভাবলাম বুঝি উনি জানতে চাইছেন আমি ঢাকা থেকে কিনা। আমি তো ভাবলাম যাক টিচার বাংলাদেশ এবং ঢাকা দুটোই চিনে ফেলেছে একবারেই এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করছে আমি ঢাকা থেকে কিনা। আমি উত্তর দিলাম 'ইয়েস'। টিচার আবার বললেন, ‘দাকো’। আমি আবার বলি 'ইয়েস, ঢাকা।' টিচার আবার বলে ‘দাকো’। আমি আবার বলি ইয়েস, 'ঢাকা।' এবার ক্লাসে হাসাহাসি শুরু হলো ডাকো-ঢাকা নিয়ে। পরে জানলাম 'd’accord' মানে হলো ওকে।

#১৬

এক ফ্রেঞ্চ বন্ধুর সাথে বসে লাঞ্চ করছিলাম। খেতে খেতে সে হঠাৎ বলে, আজকের খাবারে কোন ‘গু’ নেই । আমার তো চোখ ছানাবড়া। এই ব্যাটা খাবারে গু চায় কেন? আবার একটু পর বলে এমন গু ছাড়া খাবার খেতে একটুও ভালো লাগে না। এবার আমার তো ভিমরি খাওয়ার জোগাড়। কারো যে গু ছাড়া লান্ঞ্চ খেতে ভালো লাগেনা এই প্রথম শুনলাম। কৌতুহলী হয়ে গু কী জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম এর মানে Taste।

#১৭

মাস কয়েক হলো ফ্রেঞ্চ একটা কোম্পানির রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ কাজ করছি। একটা প্রজেক্ট মিটিং এ দক্ষিন ফ্রান্সের মোঁপলিয়ে শহরে যেতে হলো। আমরা কয়েক সহকর্মী একসাথে যাচ্ছি। ইউরোপের দ্রুততম ট্রেন ৩০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে চমৎকার পর্বত দুপাশে ফেলে। ৩ ঘন্টার জার্নি। আমার সহকর্মীরা হঠাৎ তাস খেলতে চাইল সময় কাটানোর জন্য। আমি খুব একটা উৎসাহী ছিলাম না তাস খেলায়। কারন প্রথমত সাউথ ফ্রান্সের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বিতীয়ত তাস খেলায় আমি খুব একটা পারদর্শীও নই। তবু জনবল সংকটের কারনে না করার কোন উপায় নেই। কলিগরা আমাকে ‘পোকার’ খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিচ্ছিল।
এক পর্যায়ে একজন বলল, 'ডু ইউ হ্যাভ অ্যাস?'
আমি তো ভাবি অ্যাস ছাড়া আবার মানুষ হয় নাকি? আমি স্বীকার করলাম যে, 'আই হ্যাভ এ্যান অ্যাস।'
সে আবার বলে, 'শো মি ইউর আ্যস।'
আমার তো আক্কেল গুড়ুম অবস্থা। আমি বললাম, 'হোয়াই ডু ইউ ওয়ান্ট টু সি মাই অ্যাস?'
সে বলে, 'আই ওয়ান্ট টু সি ইফ ইউ হ্যাভ রাইট অ্যাস অর নট।'
আমি বললাম, 'আই কান্ট শো মাই অ্যাস টু এনিওয়ান।'
সে আবার বলে, 'পুট ইওর অ্যাস অন দা টেবিল অ্যান্ড শো এভরিওয়ান।'
আমি তো ভাবি শালা দেখি ভালই টেনেছে। এখন উল্টাপাল্টা বকছে। সে বলে, 'দিস ইজ দা রুল, ইফ ইউ হ্যাভ অ্যাস, ইউ হ্যাভ টু শো টু অল।'
আমি একটু চড়া গলায় বললাম, 'বুলশিট ইউর রুলস।'
এবার সে আমার হাত থেকে তাসগুলো টেনে নিয়ে টেক্কা বের করে বলল, 'দিস ইজ দা অ্যাস (ACE)।'

 

#১৮

কার্টুন: জুনায়েদ

 

#১৯

ইটালির এক সাগর তীরে, একবার এক ইটালিয়ান তার স্যান্ডেল হারিয়ে ফেলেছে। সে ভাবল কেউ হয়তো নিয়েছে। কাছে-পিঠে দেখল এক বাংলাদেশী তরুণ বসা। ইটালিয়ানটি ভাবলো এই বাংলাদেশীই হয়তো তার স্যান্ডেল নিয়েছে। কিন্তু কথা বলে বোঝা গেল যে বাংলাদেশী তরুণটি ইটালিয়ান ভাষা বোঝে না। মহা সমস্যা! এবার অপর এক ইটালিয়ান এগিয়ে এল তার সাহায্যে। বলল আমি অনুবাদকের কাজ করি, সামান্য বাংলাও জানি। আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করতে পারি। খুশী হলো ইটালিয়ানটি, চেষ্টা করুন।
অনুবাদক : তুমি কি এই ইটালিয়ানের স্যান্ডেল নিয়েছে?
বাংলাদেশী : (ক্ষিপ্ত হয়ে) হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমার তো খুব দরকার।
ইটালিয়ান : কি বলে?
অনুবাদক : বলে যে, আপনার স্যান্ডেল তার খুব দরকার।
ইটালিয়ান : খুব দরকার? তাহলে, সে স্যান্ডেলের দাম দিক।
অনুবাদক : তুমি এই ইটালিয়ানের স্যান্ডেলের মূল্য দাও।
বাংলাদেশী : (অধিকতর ক্ষিপ্ত হয়ে) আরে বাপরে!
ইটালিয়ান : কী বলে?
অনুবাদক : বলে আপনি নাকি তার বাবা।
ইটালিয়ান : বাবা যখন ডেকেছে, তখন অর্ধেক দাম মওকুফ করে দিলাম, বাকি অর্ধেক দাম দিক।
অনুবাদক : তুমি এই ইটালিয়ানের স্যান্ডেলের অর্ধেক মূল্য দাও।
বাংলাদেশী : (রাগত স্বরে) ঘোড়ার ডিম দেব।
ইটালিয়ান : কি বলে?
অনুবাদক : শেষ কথাটি ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে যা মনে হচ্ছে, সে টাকা-পয়সা কিছু দেবে না, খাবার জাতীয় কিছু দিতে পারে।

#২০

অফিসে বসে আছি। একজন খুব আড্ডাবাজ মানুষ আসছেন আমার কাছে। আলাপ প্রসঙ্গে বুঝতে পারলাম তিনি আমার জেলা কিংবা পাশের জেলার বাসিন্দা।
আগন্তুক: আন্নে কেন্নে বুইঝতাচ্ছেন আঁর বাই আদ্যমুন্সী বাজারের কাছে। আঁর কথা হুনি কেহই বুঝে না আঁর বাই হেনী।
(আপনি কিভাবে বুঝলেন আমার বাড়ী আবিদ মুন্সী বাজারের কাছে। আমার কথা শুনে কেউ বুঝে না আমার বাড়ী ফেনী।)  

১৩৮৮০ পঠিত ... ০৮:৩৮, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top