অবিশ্বাস্য! অকল্পনীয়! কিন্তু eআরকির অবিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত খবর, স্বপ্নের শহর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আমাদেরই এক পরিচিত মুখ, মামদানি! এই অভাবনীয় জয়ের খবর নিউইয়র্ক থেকে আসার আগেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে—শপথ গ্রহণ দূরে থাক, মেয়র হিসেবে এক সেকেন্ডও দায়িত্ব না নিয়ে তিনি একটি ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে সোজা বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছেন! উদ্দেশ্য? দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকের জন্য ভোট চাওয়া!
সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিবিরের অনেক নেতার অভাবনীয় জয়ের পর তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ফেলে হেলিকপ্টারে চড়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট চাইছেন, এমন খবরে মামদানিও নাকি অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। তার ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, মামদানি সাহেব নাকি নিউইয়র্কে বসে ভাবছিলেন, 'ওরা যদি হেলিকপ্টারে চড়ে দাঁড়িপাল্লার জন্য ভোট চাইতে পারে, আমি নিউইয়র্কের মেয়র হয়ে কেন পারব না?'
জানা গেছে, নিউইয়র্কের মসনদে বসার আগেই মামদানির ধ্যান জ্ঞান এখন বাংলাদেশের দাঁড়িপাল্লা। তার নির্বাচনী ইশতেহার নাকি নিউইয়র্কের যানজট বা আবাসন সমস্যা নিয়ে নয়, বরং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে দাঁড়িপাল্লার জয় নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েই তৈরি করা হয়েছিল। নিউইয়র্কের ভোটাররা হয়তো ভেবেছিলেন, মামদানি বুঝি তাদের শহরের জন্য 'ভারসাম্যপূর্ণ' উন্নয়ন চাইছেন, কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে মামদানি সাহেবের 'দাঁড়িপাল্লা প্রেম' আসলে বাংলাদেশের এক বিশেষ প্রতীকের প্রতি!
eআরকির অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, নিউইয়র্কের মেয়রের সরকারি হেলিকপ্টার ফেলে মামদানি একটি বাংলাদেশি কোম্পানি থেকে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন। এই হেলিকপ্টারের ভেতরে নাকি ইতিমধ্যেই দাঁড়িপাল্লার থিম সং বাজানো শুরু হয়েছে এবং যাত্রাপথে তিনি নিজেই 'আমার ভোট, তোমার ভোট, দাঁড়িপাল্লায় ভোট' স্লোগান অনুশীলন করছেন। তার সাথে আসা বিশেষ টিমে নিউইয়র্কের কোনো সিটি কাউন্সিলর নেই, বরং আছেন বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ছাত্রনেতারা, যারা 'দাঁড়িপাল্লায় ভোট চাওয়ার কলাকৌশল' বিষয়ে মামদানিকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নাকি ইতিমধ্যেই সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। শত শত 'দাঁড়িপাল্লাপ্রেমী' কর্মী, সাধারণ জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের ভিড়ে বিমানবন্দর উপচে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, নিউইয়র্কের মেয়র কেন নিউইয়র্কের কাজ ফেলে বাংলাদেশে আসছেন?
অবশ্য, তার সমর্থকরা বলছেন, এটা তো আন্তর্জাতিক গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল আস্থার প্রতীক!
এদিকে, নিউইয়র্কের জনগণ মামদানির এই কাণ্ডে বিস্মিত। তারা নাকি মেয়র অফিসকে ফোন করে জানতে চাইছেন, ‘আমাদের নতুন মেয়র কোথায়? আমরা কি তবে রিমোট কন্ট্রোলে পরিচালিত সিটি পেতে যাচ্ছি?’
তবে মামদানির সাফ কথা, নিউইয়র্কের মেয়রের চেয়ার অপেক্ষা করতে পারবে, কিন্তু বাংলাদেশের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের জন্য ভোট চাইতে আর দেরি করা যাবে না। আমি তো শুধু কাজ ফেলে আসিনি, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করতে এসেছি!


