ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে একেক পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। ২০০০+ সিসিটিভি, ২০০+ নিরাপত্তাকর্মী, লেজার অ্যালার্ম, মোশন ডিটেক্টর সবকিছু কে ভ্রুকুটি আর বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত ১৯ অক্টোবর প্রায় ১০২ মিলিয়ন ডলারের শুধু গয়নাই চুরি হয়। এই ঘটনার রেশ না কাটতেই গত ২৬ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এক লিকেজ। জাদুঘরের মিসর বিভাগের ঐ লিকেজ থেকে পানি প্রবেশ করে উনিশ-বিশ শতকের প্রায় ৩০০-৪০০ বইয়ের ক্ষতি হয়েছে। ল্যুভরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লরেন্স দ্য কার্স এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক মিথ্যা বিবৃতিতে বলেন, বলো, কেন এমন হয়? আগে গয়না নিল , এখন বই নষ্ট হল! এ কার কার্স?
ল্যুভর এই ঘটনার পর পরই একটা জরুরী তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি কোন প্রতিবেদন দাখিল ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেয় ল্যুভর মিউজিয়াম নীলক্ষেতে স্থানান্তরিত করা হবে। জাদুঘরের উপপ্রশাসন জনাব ফ্রান্সিস স্টেইনবক এক ভুয়ো বার্তায় আহ্লাদ করে বলেন, ছাত্রজীবনে আমার একটা বই দরকার ছিল। তন্নতন্ন করে খুঁজে ল্যুভর তো দূর, জার্মানির বইমেলায় ও পাইনি। কোথায় পেয়েছিলাম জানেন? নীলক্ষেতে, অক্ষত। শুধু বইয়ের ভিতরে একজনের ফোন নম্বর আর তোমায় না পেলে মরে যাবো লাইনটি লেখা ছিল।
সেই থেকে আমার আগ্রহের তালিকায় চলে আসে নীলক্ষেত। আমার মনে হয় যেসব বই আমাদের নষ্ট হয়েছে, ভালো করে খুঁজলে তার একটা কপি নীলক্ষেতে পাওয়া যেতে পারে। এত খোলামেলা অবস্থায় থেকেও বই যেখানে এত ভালো থাকতে পারে সেখানে কেনই বা মিউজিয়াম নেয়া হবে না? তাছাড়া পাশেই নিউমার্কেট, বিশাল ওপেন বিজনেস। কিছুই চুরি হয়না। গয়নার কিছু অংশ আমরা সেখানেও শিফট করতে পারি।
ল্যুভর কর্তৃপক্ষ আরো জানায় বাংলাদেশে কোটিপোতি বাড়ার খবরে তাদের মনে প্রাণে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়েছে যে বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যেখানে ল্যুভর থাকবে ভারহীন, ভারসাম্যপূর্ণ।


