আজ শুক্রবার সারাদেশে অনুষ্ঠিত হলো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড়ের উপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে, এবারই প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সকল শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। ডাক্তার হিসেবে না হলেও করোনা রোগী হিসেবে সব শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার এমন সুযোগ এর আগে আসেনি কখনোই।
একটি ভূয়া ভবিষ্যদ্বাণী মারফত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, 'আমরা বাংলাদেশের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছি। যা ভিড় দেখলাম, একজন শিক্ষার্থীও মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কামুক্ত নয়। আশা করা যায়, সবচেয়ে মেধাবীরা আইসিইউতে ভর্তির সুযোগ পাবে।'
ওয়েটিংয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা অতদিন বেঁচে থাকতে পারলে অবশ্যই আইসিইউতে জায়গা পাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'সার্ভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্ট, ইউ নো দ্য রেস্ট ম্যান।'
শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলো। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত অন্যান্যদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। কী কারবার দেখছেন! ইউরোপ-আমেরিকাও তো এমন স্বপ্ন দেখার সাহস করে না।'
বাংলাদেশের এক মেডিকেল কর্মকর্তা জানালেন আরও বড় ফিলসফির কথা। তিনি বলেন, 'ভিড় ঠেলে করোনার ঝুঁকি নিয়ে যদি মেডিকেল পরীক্ষাই না দিতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে একেবারে ফ্রন্টলাইন থেকে করোনা মোকাবেলা করবে কীভাবে? শিক্ষার্থীদের আমরা ভবিষ্যতের বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলছি।'
মেডিকেলে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা এক পরীক্ষার্থী মাস্ক সরিয়ে একটু কেশে নিয়ে বলেন, 'পুরোটা বছর শুধু শুনছি মেডিকেলে চান্স পাবো কিনা? প্রস্তুতি কেমন? এখন এই ডাইনামিক ব্যাস্থার ফলে শুধু আমি কেন আমার বাবা মা, আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি এমনকি যাদের আমি চিনিও না তাদেরও মেডিকেলে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। এ কৃতিত্ব আমার একার না, সরকার, কর্তৃপক্ষ ও সমগ্র বাংলাদেশের।'
বাদবাকি শিক্ষার্থীরা এতে খুশি হয়েছেন নাকি হননি সে বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনা টেস্ট করিয়ে ফেসবুকে স্টাডি এট এমবিবিএস লেখা যাবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক ভূয়া বিবৃতিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।