হোয়াইট হাউজে সাবলেট থাকতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প

১১২১ পঠিত ... ১৪:২৫, নভেম্বর ১০, ২০২০

নির্বাচনে হেরে ট্রাম্প যতটা না বিমর্ষ তার চেয়ে বেশি শোকাতুর হোয়াইট হাউজের মায়ায়। গত মাঝরাতে হঠাৎ মুড সুইং হওয়ায় বিদায় ব্যথায় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আবেগে মেলানিয়াকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করেন, এই মহলে আমরা আর কতদিন আছি? উত্তর আসতেই তার কান্নার গতি ডাবল হয়ে যায়। এ সময় হোয়াইট হাউজে গভীর নীরবতা নেমে আসে।

দুঃখ ভারাক্রান্ত ট্রাম্প বলেন, 'গণতন্ত্র তখনি সুন্দর হতে পারে, যখন তাতে বিদায়ের বেদনা না থাকে। জো ভাইয়াও তো বলেছেন, সবাই মিলে কাজ করতে চান। সবাই মিলেমিশে এক জায়গায় থাকলেই তা আরও ভালোমতো সম্ভব।'

গণতন্ত্রকে আরও পোক্ত করতে তিনি সব সাবেকদের হোয়াইট হাউজে থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা যোগ করে বলেন, 'সাবেক প্রেসিডেন্টরা হোয়াইট হাউজে থাকলে তাদের সামষ্টিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আমেরিকাকে গ্রেট করতে সহায়ক হবে।'

থাকতে বেশি জায়গা লাগবে না, এমন মতামত জানিয়ে তিনি বলেন, 'দুই রুম ডাইনিং হইলেই আমাদের চলে। কিচেনও তো তোমার লাগে না, ফুডপান্ডা থেকে অর্ডার করেই তো খাও। কী বলো মেলু?'

এ সময় মেলানিয়া পাশ থেকে 'এই বুড়া মি*সে বা*ছা* কথা বলা বন্ধ করলো না...' বলে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করলে ট্রাম্প তার দিকে তাকিয়ে বলেন, 'মেলু, আমি এখনো প্রেসিডেন্ট আছি, মরে যাইনি, এর মধ্যেই আমি স্পেশাল হোয়াইট হাউজ সাবলেট এক্ট- ২০২০ পাশ করিয়ে আমেরিকাকে আমার সেবা করার সুযোগ বাড়িয়ে নেব।'

এই সময় ট্রাম্প বিছানা থেকে দৌড়ে গিয়ে টেবিল থেকে নোটবুক নিয়ে বিলের পক্ষের এই যুক্তিগুলো নোট করে নেন-
১. স্লিপি জো যাতে না ঘুমিয়ে পড়েন তার খেয়াল রাখা।
২. বর্তমান প্রেসিডেন্টদের উপর দেশের সার্থে চাপ প্রয়োগ ও অব্যাহত রাখা।
৩. হোয়াইট হাউজের বিশাল স্পেসের অপচয় রোধ করা।
৪. বিতর্কিত সাবেকদের জানের হেফাজত, ইত্যাদি।

এ পর্যায়ে মেলানিয়া উত্তেজিত হয়ে ট্রাম্পকে বেডরুম থেকে বের করে দিলে তিনি সোফায় ঘুমিয়েই বাকি রাত পার করেন। 

১১২১ পঠিত ... ১৪:২৫, নভেম্বর ১০, ২০২০

Top