জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারীরা যাতে ঘরের কাজ, বাচ্চা লালন-পালনের কাজে সামাল দিতে পারে সেজন্য নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করবেন তারা। তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে না গিয়ে নারীরা ঘরের কাজ করলে সরকার থেকে তাদেরকে সম্মানিত করা হবে।
কিন্তু আমির সাহেবের এই বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছে নারী সমাজ। নিজের ফেক আইডি থেকে এক নারী বলেন, সম্মান না, টাকা চাই।
বিষয়টি নিজে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে অন্য এক নারী ফেক আইডি থেকে eআরকিকে বলেন, আমরা অনেক হিসেব কইরা দেখছি, সম্মান দিয়ে কিছু কেনা যায় না। সম্মান দিয়ে নিজের শখও পূরণ করা যায় না। আমি ঘরের সব কাজ করি। আমার স্বামী আমাকে সম্মান দেয়। কিন্তু দিনশেষে বাড়িটা তার নামে। ব্যাংক-ব্যালেন্সের তারই টাকা! আমার ব্যাংক-ব্যালেন্স শূন্য। একটু মন ফুরফুরে করার জন্য নেপাল যাইতে চাইছিলাম, গিয়ে দেখি সম্মান দিয়ে প্লেনের টিকেট কাটা যায় না। এমনকি সাজেক যাওয়ার বাসের টিকেটও সম্মান দিয়ে কাটতে পারলাম না। যাদের বাবা নাই, স্বামী অসুস্থ বা দুনিয়া থেকে লগআউট করেছে, তারা কি এখন সম্মান খেয়ে বাঁচবে?
অন্য এক নারী বলেন, এইসব সম্মান-টম্মান আমরা বুঝি। এর আগে সম্মান দিয়ে বাপ-ভাই সম্পতি মেরে দিছে। পোলা জমানো টাকাটা মেরে দিছে৷ স্বামী মেরে দিছে সারাজীবনের প্রভিডেন্ট ফান্ড। এইসব হাংকি-পাংকি চলবে না। আপনার সম্মান আপনে রাখেন, আমাদেরকে অধিকার বুঝাইয়া দেন।
সম্মান কি তাইলে ভালো জিনিস না? আমাদের এমন প্রশ্নে এই নারীনেতৃ বলেন, সম্মান ভালো জিনিস, কিন্তু সেটা টাকার মতো ভালো না। টাকা হইলে কিছু সম্মান সুপারমার্কেট থেকে কিনে নেব। সম্মান দিয়ে টাকা পাওয়া যায় না, তবে টাকা দিয়ে সম্মান পাওয়া যায়।
জামায়াতের আমিরকে উদ্দেশ্য করে অন্য এক নারী বলেন, আপনাকে লাখ খানেক সম্মান দিচ্ছি, আপাতত রাজনীতি ছেড়ে ঘরের কাজে মন দেন।


