ঢাকার রাজপথে ইতিহাসের নতুন পাতা খুলছে। যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা ঢাকা কলেজ বনাম সিটি কলেজের প্রাণবন্ত, সুদীর্ঘ এবং নাটকীয় সংঘর্ষ এবার এক নতুন পর্যায়ে। দুইদিন পরপরই ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে জমিয়ে মারামারি করে।
তবে এবার তারা একটু গোছানো হতে চাইছে। রাস্তার ওপর মার খেতে খেতে ক্লান্ত, পুলিশি লাঠির ঘায়ে সম্মান ক্ষুণ্ন—তাই এবার তারা মারামারির জন্য চাচ্ছে একটা ‘কলোসিয়াম’। ঢাকার বুকে এক টুকরো রোম বানিয়ে সেখানে তারা নিয়মিত মারামারি করতে চায়, দর্শকের গর্জনের মাঝে। এ ব্যাপারে ঢাকা কলেজের একজন বলেন, আমাদের এই মারামারি কোনো কিশোর গ্যাং-এর ঝগড়া না, এটা একটা ঐতিহ্য! তাই ফুটপাথে পুলিশি লাঠির অপমান নয়, বরং প্রপার সাউন্ড সিস্টেম, আলো, আর দর্শকসহ মারামারির আয়োজন হোক!
তাদের মতে, মারামারিও একটা আর্ট। যেটা ঠিকমতো মঞ্চ পেলে সংস্কৃতি হয়ে উঠতে পারে। আর তাই তো এই তরুণরা বলছে—এভাবে রাস্তায় না, আমরা চাচ্ছি গ্ল্যামারাস মারামারি। পুলিশ না এসে বাধা দিক রেফারি!
তাদের পরিকল্পনায় জায়গা আছে সবকিছুর—ভিআইপি গ্যালারি, ফ্যান ক্লাব, মারামারি শেষে ট্রফি, এমনকি টিকিট বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের প্রস্তাবও আছে। কেউ কেউ তো এমনও বলছে, এই কলোসিয়াম চালু হলে ঢাকায় নতুন পর্যটন স্পট তৈরি হবে। ‘ইভনিং ফাইট শো’ দেখে বাসায় ফেরার আগে সবাই একটু হেলমেট কিনে নেবে স্মারক হিসেবে। তরুণ সমাজের এই নতুন ক্রীড়ার ধারাকে অনেকেই বলছে ‘কলেজীয় মার্শাল আর্ট’। মারামারি চললেও তাতে এক ধরনের ডিসিপ্লিন আসবে, আর মারামারিও হবে নিয়ম মেনে। ইতিমধ্যেই বিষয়টিতে সহমত জানিয়ে দুই কলেজের ছাত্ররা #খেলা_হবে হ্যাশট্যাগে ছেয়ে ফেলেছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া।