রাজনীতিতে চাঁদাবাজি নতুন কিছু না, কিন্তু বিএনপির কিছু নেতাকর্মী যেন এটাকে পুরোনো ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমানে দলটি ক্ষমতায় না থাকলেও আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তারা যেন ‘প্রাক-ক্ষমতা ট্রায়াল রানে’ ব্যস্ত। মিছিল-মিটিংয়ের ফাঁকে কিংবা গণসমাবেশের পেছনে, খোলা হাতে চাঁদা তোলার এ এক অভিনব আয়োজন—কেউ কেউ এটাকে বলছে, ডেমোক্রেটিক ড্রাই রান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপির এই চাঁদাবাজি তৎপরতা দেখে বোঝা যাচ্ছে—পোস্ট-আওয়ামী যুগেও চাঁদাশিল্প যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেই দায়িত্ব তারা স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিয়েছে।
এমনকি তাদের এই চাঁদা-প্রেম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার নিজেই বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে রূপচাঁদা মাছেরা। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে রূপচাঁদাদের পক্ষে কথা বলেন তাদের সর্বসম্মত নেতা ‘মো. পাখনা রূপচাঁদা’। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, দেখুন, আমাদের নামেই তো চাঁদা! তাই ভেবেছি, এই পার্টিতেই আমাদের ভবিষ্যৎ সবচেয়ে উজ্জ্বল। এত বছর কেজি দরে বিক্রি হলাম, এবার চাই রাজনীতির ওয়েট দিয়ে উঠতে।
তিনি আরও বলেন, অনেক তো ফ্রিজে কাটালাম জীবন, এখন চাই ফেস্টুনে ঝুলতে। মাছ হিসেবে বাজারে যতই জনপ্রিয় হই না কেন, চাঁদা ছাড়া এই দেশে কিছু হয় না—সেটা আমরা বুঝে গেছি।
এদিকে বিএনপির এক পাতি নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, রূপচাঁদা ভাইদের স্বাগতম জানাই আমাদের দলে। এখন পদচারণার মাটি থাকবে যেমন আমাদের, তেমনি জলের রাজনীতিতেও আমরা সমান শক্তিশালী হবো।