বহুল কাঙ্ক্ষিত এক স্বীকৃতির দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল রাজধানীর দুই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস-এ যোগ করা হলো মারামারি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক গোপন নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু দুইদিন পরপরই কোনো কারণ ছাড়াই ঢাকা কলেজ আর সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, সেহেতু বিষয়টিকে আর অস্বীকার করার উপায় নেই। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণের মাত্রা বিবেচনায় এটি এখন থেকে কো-কারিকুলার হিসেবে গণ্য হবে।
এই ঘোষণায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন দুই কলেজের শিক্ষার্থীরাই। ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র বলেন, এই তো! এতদিন গোপনে গোপনে করতাম, এখন অফিশিয়ালি করতে পারব। বাসায়ও আর ঝামেলা হবে না মারামারি নিয়ে।
সিটি কলেজের পক্ষ থেকে এক ছাত্র জানান, আমাদের তো এখন মাসে একটা ‘ইন্টার কলেজ মারামারি চ্যাম্পিয়নশিপ’ দরকার।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মারামারির সিলেবাসও তৈরি করা হচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক মডিউল থাকবে, যেমন:
ধাক্কাধাক্কি ১০১
রডের কার্যকর ব্যবহার
‘তুই চিনস না আমারে’ থিওরি
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে সম্মিলিত সংঘর্ষে প্রেজেন্টেশন
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষক বলেন, আগে খালি বিতর্ক আর রোভার স্কাউট ছিল, ওগুলোতে ছেলে খুঁজে পাওয়া যেত না। এখন ‘মারামারি ক্লাব’ খোলার পর ৮০০ জন মেম্বার! আমি নিজেই অবাক!
তবে নিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ মারামারিকে আউটডোর অ্যাক্টিভিটি হিসেবে সীমিত রাখতে বলেছে। এর ফলে বসুন্ধরা, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, এমনকি মিরপুরের মেট্রোস্টেশন পর্যন্ত এই ‘প্রাকটিক্যাল ক্লাস’ ছড়িয়ে পড়েছে।