একসময় নিজের ফুটবল ক্লাবের উন্নতির জন্য ১৩টি গরু বিক্রি করে আলোচনায় এসেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। এবার গরু বিক্রির সেই মহাপরিকল্পনা আবার বাস্তবায়নের পথে। কারণ দেশে এসেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফুটবলার হামজা চৌধুরী। বর্তমানে কারাগারে অবস্থান করলেও ফুটবলের প্রতি ভালোবাসায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি সুমনের। জেলের ভেতর থেকেই খবর পেয়েছেন হামজার আগমনের। সঙ্গে সঙ্গে নড়ে চড়ে বসেছেন। উচ্ছ্বাসে কাঁপছে কারাগারের দেয়াল! পাশে থাকা কয়েদিরা প্রথমে ভেবেছিল, হয়তো আদালত থেকে জামিনের খবর এসেছে। কিন্তু না! সুমনের উত্তেজনার একমাত্র কারণ হামজা চৌধুরী।
জানা যায় জেলের অভ্যন্তর থেকেই বিশ্ব ফুটবলের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করেন সুমন। ব্রাজিলের নেইমার, আর্জেন্টিনার মেসি, কিংবা ইংল্যান্ডের কেইন—সবাইকে নিয়ে আলোচনা করলেও এবার তার চোখ শুধুই হামজার দিকে। ক্লাবের জন্য ব্রিটিশ লিস্টারের স্বাদ পেতে চান তিনি! তবে সমস্যা একটাই; হামজাকে দলে আনতে হলে টাকা লাগবে। আর টাকা আসবে কোথা থেকে? সমাধান সহজ! আবারও গরু বিক্রির পালা। জেলের ভেতরে বসেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যত দাম ওই ওউক, গরু বিক্রি কইরা হলেও হামজাকে আমার দলে আনব। তবে এমন ঘোষণার পর সুমনের গরুগুলো কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে হামজা চৌধুরী এখনও কিছু বলেননি। তবে ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি তিনি বাংলাদেশে এসে ব্যারিস্টার সুমনের দলে যোগ দেন, তাহলে ফুটবল বিশ্বে এটি হবে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা! কারণ সাধারণত ইউরোপের খেলোয়াড়রা নতুন দলে যোগ দেওয়ার জন্য মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। কিন্তু এখানে একজন খেলোয়াড় দলে আসবেন গরু বিক্রির টাকায়! ফুটবল ফেডারেশনও নতুন এই ট্রান্সফার মডেল নিয়ে বেশ উত্তেজিত। কারণ সুমনের এই গরু-কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক মডেল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ফুটবলে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। অনেক ক্লাব এখন খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছে—গরু বিক্রির মাধ্যমে ট্রান্সফার ফান্ড জোগাড় করার নিয়ম কি ফিফার ট্রান্সফার বিধির মধ্যে পড়ে কিনা…