সামনেই কোরবানি ঈদ। গরু কেনার আগে যাচাই-বাছাই চলে খুব ভালোভাবেই। অমুক হাটে ভালো গরু আছে তো তমুক হাটে ভালো ব্যাপারীর গরু আছে। কিন্তু, এই গরুই যদি গরু না হয়ে বিবাহের পাত্রী হতো; তাহলে আমরা আসলে গরুর মধ্যে কী কী চাইতাম? আসুন জেনে নিই।
১#
প্রথম দর্শনেই হবু শাশুড়ি গরুকে বলত, তোমার লেজের চুলগুলো একটু ঝাড়া দাও। পা ছুঁয়েছে কিনা দেখব।
২#
গরুকে সামনে, পেছনে, ডানে, বামে মুভ করে ছোট ননদ আগেই মেক শিওর করে নিত, গরু ট্যারা না তো!
৩#
গরুর কাছে ছোট চাচার আবদার হতো, একটু রবীন্দ্রনাথের সুরে আলগা করো গো খোপার বাঁধন গানটা গেয়ে শোনাও তো।
৪#
নানি শাশুড়ি গরুকে এক পা তুলে দাঁড়াতে বলতেন—দেখে নিতেন ভারসাম্য ঠিক আছে কিনা, বিয়ের পর সংসারের ভার তো তাকেই সামলাতে হবে।
৫#
কথা বলার সময় বড় বোন কৌশলে গরুর দাঁত গুনে দেখত—বয়স তো বলছ তিন বছর, কিন্তু দাঁতের অবস্থা দেখে তো বেশি মনে হচ্ছে!
৬#
বড় ফুপু গরুর পাশে বসে ফিসফিস করতেন, ছবিতে আরেকটু উজ্জ্বল লাগতেছিল। কী ফিল্টার দিয়ে যে ছবিটা তুলছে!
৭#
শ্বশুর মশাই গরুর ব্যাপারীকে জিজ্ঞেস করতেন, গরু রান্না-বান্না পারে তো? নাকি সারাদিন শুধু ঘাসই খায়?
৮#
ছোট ফুপু গরুকে একটু হেঁটে দেখাতে বলতেন। হাঁটার সময় পেছন থেকে এবং সামনে থেকে গরুকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণও করে নিতেন।
৯#
গরু কথা বলার মাঝখানে হবু শাশুড়ি জিজ্ঞেস করতেন, গরুটা মৃদুভাষী তো? বেশি হাম্বা করে না তো? আমাদের ছেলের ঘুমের সমস্যা আছে কিন্তু!
১০#
সবশেষে, গরুকে জিজ্ঞেস করা হতো, তুমি কি কোরবানিতে রাজি? মানে মানিয়ে নিতে পারবে তো আমাদের মতো রুচিশীল পরিবারে?