চারদিকে ঘন কুয়াশা। শৈত্য প্রবাহ চলছে কোনো কোনো জায়গায়। মানুষ হারিয়ে ফেলছে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, ব্যহত হচ্ছে কর্মজীবন। এর মধ্যেই বেঁচে থাকা। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়। এক গোপন সরেজমিনে জানা গেছে, এই কুয়াশায় অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না অনেক তরুণ। এবং ধীরে ধীরে তরুণের সংখ্যা অ্যালার্মিং গতিতে বেড়েই চলছে।
রাজ্জাক নামের এক তরুণ জানান, 'খুব সমস্যায় আছি। অ্যাডমিশন কোচিং এ ভর্তি হয়েছিলাম বুয়েটে পড়বো বলে। তুখোড় ব্যাচে চান্সও পেয়েছি। এখন কুয়াশার *দনে সামনে কী আছে তাই দেখতে পাইনা, ভবিষ্যৎ দেখবো কীভাবে! আমার এতো বছরের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়ার কষ্ট কখনোই কমবে না...’
শুধু ভবিষ্যৎই নয়, এই ভারী কুয়াশায় মানুষ নিজের বাড়িঘরের রাস্তা ভুলে হাজির হচ্ছেন অন্যসব জায়গায়। তাশবীর(৩৫) নামের এক ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে তার নিজের বাড়ি ভেবে অন্যের বাড়িতে ঢুকে, নিজের স্ত্রী ভেবে অন্যের স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিমান্ডে ডিম থেরাপি দেবার পর তিনি বলেন, ‘ভাই, এতো কুয়াশা কিছুই দেখিও না, বুঝিও না। আমার কী দোষ?' শুধু তাশবীর নয়, তার মতো আরও অনেকের নামেই শোনা যাচ্ছে এ ধরনের অভিযোগ। তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, পাঁচ-সাত বছরের শিশুরা এই কুয়াশায় তাদের বাবা-মাকে চিনতে না পেরে অন্য দম্পতিকে বাবা মা ডাকার সঙবাদ পর্যন্ত শোনা গেছে!