বাংলাদেশের লকডাউন মডেল অনুসরণ না করেই ধরা খেয়েছি: আমেরিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৫১৯ পঠিত ... ১৩:৫৫, জুন ২৭, ২০২১

us health minister dhora

'বাংলার লকডাউন আমি দেখিয়াছি তাই, পৃথিবীর লকডাউন আর দেখিতে যাই না আর।' বাংলাদেশের লকডাউনের কার্যকারিতা, রূপ-লাবণ্য ও মুগ্ধতা দেখে এমন লাইন লিখেছিলেন আমেরিকার বিখ্যাত কবি শেক্সপিয়র। সম্প্রতি বাংলাদেশের লকডাউনের এমন মহত্ত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন আমেরিকান মন্ত্রী-আমলা, রাজনীতিবিদরাও।

করোনাভাইরাস মহামারীতে নিজেদের ভরাডুবির বিষয়ে বাংলার লকডাউন মডেলকে ফলো না করার ধরা খেয়েছেন বলে জানান আমেরিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের লকডাউনকে অনন্য ও অর্থনীতিবান্ধব লকডাউন বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, 'দেখলাম করোনাকালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। উন্নত হয়েছে জীবনমানও। রংপুরের সোনাদিয়া এলাকার রিক্সাচালক করিম নাকি এই অর্থনীতিবান্ধব লকডাউনে তিনবেলা খাসির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছেন। আর আমরা আমেরিকানরা একটা শুকনা মরিচও পাচ্ছি না। এসব সম্ভব হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউনেও গার্মেন্টস, গণপরিবহনসহ সবকিছু খোলা রাখার এক অনন্য পরিকল্পিত লকডাউন বাস্তবায়নের মাধ্যমে।'

করোনা মোকাবেলার এই কঠিন চ্যালেঞ্জকে খেলাধুলার সাথে তুলনা করেছেন খেলাধুলার সাথে। আর সেখানেই সবচেয়ে বড় মাইন্ড গেম খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, 'এই লকডাউন, এই আবার খোলা। এদিকে আজ সীমিত তো কাল আবার কঠোর! এমন সিদ্ধান্ত বদলকে আপাত দৃষ্টিতে অব্যবস্থাপনা মনে হলেও আসল খেল এখানেই। এভাবেই করোনা ভাইরাসের মাঝে কনফিউশন তৈরি করেছেন তারা। করোনা মাঠে নিজেদেরকে মেলে ধরবে, অ্যাটাকিং খেলবে নাকি ডিফেন্সিভ বুঝে উঠতে পারে নাই। ফলাফল বিশ্বের মধ্যে অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান।'

বাংলাদেশের এই লকডাউন মডেলটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে বাংলাদেশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের অধীনে মাস ছয়েকের ইন্টার্নশিপ করতে চান বলেও জানান আমেরিকান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই পোস্টের জন্য ব্রাজিল, ইতালি, ভারত ও ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আবেদন করেছেন বলা খবর পাওয়া যায়।

৫১৯ পঠিত ... ১৩:৫৫, জুন ২৭, ২০২১

Top