ঠান্ডা পানি খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে দুই যুবককে হাতে নাতে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে। অনির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত এই দুই যুবকের একজনের নাম ফাহিম এবং অন্যজনের নাম মাহিম। দুইজনই নিজেদেরকে ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে দাবি করলেও তাদের মানিব্যাগে খোঁজে পাওয়া যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি। এখান থেকে ধারণা করা যায় তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
আটকের পর পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, 'আমরা ফেসবুক থেকে পাওয়া অগ্রিম তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, কিছু যুবক ঠান্ডা পানি খেয়ে আজ দুপুরের দিকে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাত্রই রেফ্রিজারেটর থেকে বের করে আনা ২ লিটার মাম পানির বোতল ও অতিমাত্রায় ঠান্ডা কিছু কোমল পানীয় উদ্ধার করা হয়। এই চক্রের আরো কেউ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
যুবকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফাহিম নামের যুবক কয়েক দিনের গোসল না করা শুকনো মুখ করে eআরকি সাঙবাদিককে জানান, ‘ভাই আত্মহত্যা করার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমরা ইউটিউব চ্যানেলের জন্য "শীতের দিনে যেভাবে ঠান্ডা পানি খাবেন" টাইপ একটা ভিডিও বানাচ্ছিলাম। কেমনে ঠান্ডা পানি খায়া মরবো ভাই বলেন, সাতদিন ধরে ঠান্ডার চোটে গোসলই করি না!'
এই পর্যায়ে তিনি প্রমাণ হিসেবে সাতদিন ধরে গায়ে থাকা নিজের ময়লা স্যান্ডোগেঞ্জি দেখান।
দুই যুবকের অন্যজন মাহিম জানালেন, 'সুইসাইড করার আরও তো অনেক সহজ উপায় আছে। ফাঁস নেয়া, ছাদ থেকে লাফ দেয়া। এই শীতে ঠান্ডা পানি খেয়ে মরার সাহস নাই রে ভাই!'
বক্তব্য শেষে তিনি গায়ে থাকা হুডির হুডটা তুলে দেন।
তবে গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, আত্মহত্যা না করলেও অন্য কারো শরীরে তারা ঠান্ডা পানি ছুড়ে মারার মতো অপরাধের পরিকল্পনা করছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য এদেরকে অবিলম্বে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন। তবে যুবকের আত্মীয়রা এই দুজন দীর্ঘদিন ধরে গোসল করে না তা জানিয়ে ঠান্ডা পানিজনিত যেকোনো অপরাধের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্ট থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেন।
[eআরকি একটি স্যাটায়ার ওয়েবসাইট। এখানে প্রকাশিত যেকোনো খবর বিশ্বাস করার আগে তিনবার গোসল করে নিন।]