শীতের জামা পরা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, জামা পরার তারিখ নির্ধারণ কমিটি চায় দেশবাসী 

১৯ পঠিত ... ৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে

দেশের আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। হিম হিম ঠান্ডার আভাস। এদিকে গরমও পুরোপুরি যায়নি, ওদিকে শীতেরও দাপট শুরু হয়ে গিয়েছে–সব মিলে খুবই এলোমেলো একটা অবস্থা। এ অবস্থায় খানিকটা দিশেহারা অবস্থা দেশবাসীর। আমরাও তাই ঘরে বসেই দেশবাসীর মনের কথা নিয়ে হাজির হয়েছি।

একাধিক স্থান থেকে কয়েক দল তরুণ আমাদেরকে ফেক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমরা বেশ কনফিউজড যে হুডি পরব নাকি পরব না। যদিও বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে কিন্তু একা একা পরতে কেমন লজ্জা লাগে। সবাই মিলে একসাথে পরা শুরু করলে ভালো হতো। এসময় তারা শীতের জামা পরার তারিখ নির্ধারণ কমিটির দাবি তোলেন। তাদের মতে, চাঁদ দেখা কমিটির মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে শীতের জামা পরা কমিটি প্রয়োজন। তাহলে আমরা একটি নির্দিষ্ট তারিখে সবাই একসাথে শীতের জামা পরা শুরু করতাম। চাইলে সেদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হতো আর সবাই পিকনিক করতে পারত।

বগুড়ার আকলিমা এক ফেক ফোনকলে আমাদেরকে জানান, এই ঠান্ডা এই গরম, বুঝতেছি না কী করবো। ফ্যান চালু থাকবে নাকি বন্ধ এই নিয়ে বরের সাথে দুইবেলা নিয়ম করে ঝগড়া লাগছে। 

আরেকদিকে বরিশালের লতিফ বলেন, মুই তো আইজকাই ফ্যান পরিষ্কার কইর‍্যা ফালাইছি। কিন্তু এহন দেহি গরম লাগে। তাই আবার ছাড়ছি। তয় শীত আইসা পড়ছে, সবাই রেডি হন। 

রাজশাহী থেকে বশির খান বলেন, এখনও শীতের ছোটন কাকু দেখা যাচ্ছে না। সোয়েটার নিয়ে রেডি আছি, আসলেই পরব। এবার আর শীতেরে ছোটন কাকু করতে দিব না।

এদিকে আমাদের প্রতিবেদক খবর নিতে যাওয়ার পথে একটি খেজুর গাছের নিচে একজন তরুণকে গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, খেজুরের রস না পাওয়া যাওয়া পর্যন্ত শীত এসেছে বলে আমি মানি না।

আরও কয়েকটি ঘরে ঘরে যেয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে অনেকেই আলমারী থেকে শীতের জামা, লেপ, কম্বল নামিয়ে ফেলেছেন। কেউ এগুলো ব্যবহার করছেন, কেউ করবেন কিনা ভাবছে্ন। তবে চারিদিকে শীত শীত রব এসেছে, রাস্তার ধারে বসে গেছে পিঠার দোকান। আমরাও লজ্জার মাথা খেয়ে সোয়েটার পরে কম্বলের নিচে বসে লেখালেখি করছি। চাইলে আপনারাও শীতের জামা পরে আমাদেরকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারেন।

১৯ পঠিত ... ৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে

Top