কুমিল্লা বিষয়ক একটা মন্ত্রণালয়ের দাবি জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ ও হাসানাত আবদুল্লাহ। দাবি না জানানোটাই তো অযৌক্তিক। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার জেলা কুমিল্লার সড়ক ও অন্যান্য গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামত ও উন্নয়নে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। উল্লেখ্য হাসানাত আবদুল্লাহ থাকেন একই জেলার দেবীদ্বার উপজেলায়।
কুমিল্লায় সড়ক পরিস্থিতি এত খারাপ এই ঘটনা সামনে না আসলে দেশবাসীর কাছেও ব্যাপার টা অজ্ঞাত থাকত।
দেশের একটা উন্নয়ন তথা সড়ক পরিস্থিতি পড়ে থাকত পশ্চাৎপদ হয়ে। ঐ যে একটা গান আছে না, ‘ভালোবাসা যত বড় ,এলাকা তত বড় নয়।’ এলাকা যেমনই হোক, যত ছোটই হোক , দিন শেষেতো সেটা আমার। ভালোবাসার বৃহত্তর বেড়াজালের কাছে এলাকার আয়তন বরাবরই নগন্য। সেটার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে যদিওবা একটু-আধটু বরাদ্দ চাওয়া কিংবা পাওয়া হয় তাতে দোষ কী!
বাংলাদেশে সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই দেখা যাচ্ছে দেশপ্রেম তথা নিজ জেলার প্রতি প্রেম। সেটা ক্ষমতা হস্তগত হলে বেড়ে যায় বহুগুণে। এটাই বাস্তবতা, এটাই নিয়ম। কিন্তু পাষণ্ড জনগণ বাঁকা চোখে তাকায়। এই এলাকা-প্রীতিটাও যেন তাদের সহ্য হয় না। এ ভারী অন্যায়।
বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি যে রাজনৈতিক ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে দেশপ্রেম আপামর জনসাধারণের চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি থাকে। তাদের অনেকের কল্যাণে আমরা দেখেছি নিজ নিজ এলাকা কতটা ভালোবাসার ব্যাপার হতে পারে। বিরাট কোহলির চেয়েও বিরাট সব বাজেট বরাদ্দ হয়ে যায় ।
এমতাবস্থায় উন্নয়নে শুধু বরাদ্দই নয়, প্রয়োজন যথাযথ কর্তৃপক্ষের। এজন্য কুমিল্লা বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে পারে যথাযথ সমাধান। সাতক্ষীরাও আলোচনায় থাকবে, কোন উন্নয়নই আটকে রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাসানাত ও আসিফ মাহমুদ