ডাকসুর মাঠে এবার প্রেমের খবর। ডাকসু প্রার্থীদের কমেন্টবক্সে প্রতিদিনের মতোই চলছিল ভোট চাওয়ার প্রতিযোগিতা। এর মাঝেই ঘটে গেল অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। ভোট চাইতে গিয়েই প্রেমে পড়ে গেল দুই বট আইডি। প্রেম থেকে বিয়ে, ঘরে আসতে যাচ্ছে নতুন অতিথিও।
ঘটনাটি শুরু হয় প্রথম আলো পত্রিকার এক নিউজের নিচে। ডাকসু নিয়ে করা এই নিউজের কমেন্টে গফস প্রিন্স নামের এক বট আইডি লিখেন, আসেন, সবাই সাদিক কায়েম ভাইকে ভোট দেই। এই কমেন্টে লাভ রিঅ্যাকশন দিয়ে মায়াবতী শিলা আক্তার ২.০ নামের আরেক বট লেখেন, হ্যাঁ, কায়েম ভাইকে আমারও ভালো লাগে! ভিপি হিসেবে তাকেই চাই। এই কমেন্টেও লাভ রিঅ্যাক্ট দেয় গফস প্রিন্স নামের সেই বট আইডি।
এরপর ইনবক্সে তাদের কথোপকথন শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুজনের দুজনকে ভালো লাগে। ভালো লাগা থেকে প্রণয়। শেষ পর্যন্ত প্রথম আলো পত্রিকারই সেই কমেন্টবক্সে দুজন বিবাহের কাজটা সেরে ফেলেন।
ঘটনার পর সাদিক কায়েম সমর্থক মহলে বইছে আনন্দের জোয়ার। দলীয় এক মুখপাত্র নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, আমাদের বটরা শুধু ভোটই আনে না, সমাজকে প্রেমে প্রেমেও ভরিয়ে তোলে।। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। ইনশাল্লাহ আমরা জিতব।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষের অভিযোগ, এই বিয়ে আসলে একটা প্রোপাগান্ডা। বটদের বিয়ে দিয়ে মানুষ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাওয়ার প্রপাগান্ডা।
বিশিষ্ট বটস্টাইন এই ঘটনাকে বটসভ্যতার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই বটদম্পতির সংসারের ভবিষ্যত সম্পর্কে বলতে গিয়ে বটস্টাইন বলেন, এই দম্পতির সংসার থেকে ভবিষ্যতে জন্ম নিতে পারে ‘সুপার বট’, যে একাই হাজার হাজার কমেন্ট করে দিতে পারবে।
রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ নেটিজেনদের মাঝেও এখন কেবল একটাই আলোচনা, ভোটের রাজনীতির ভিড়ে জন্ম নেওয়া এই বট প্রেম কি টিকবে, নাকি অ্যালগরিদমের ভুলে ভেঙে যাবে এই সংসার?