বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকায় এক নতুন নাম উঠে আসার খবরে কাঁপছে সিলিকন ভ্যালি। না, কোনো নতুন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বা AI ইনোভেটর নয়, এ যাত্রায় শীর্ষ ধনী হওয়ার দৌড়ে আছেন সাবেক সড়ক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বর্তমানে এই নেতা ভারতে ‘জার জার ওবস্তান থেকে পলাতক’ মোডে রয়েছেন। তবে এক তদন্তমূলক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই পালিয়ে থাকা অবস্থায়তেও টেলিগ্রামে হাসিনার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার নামে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট হারে টাকা নিচ্ছেন এই আওয়ামী নেতা।
শুধু তাই নয়, ‘টেলিগ্রাম থ্রু ট্রাস্টেড টানেল টু টক টু লিডারশিপ’ নামে এই অভিনব বিজনেস মডেলটি ইতিমধ্যে তিনি পেটেন্টও করিয়েছেন। ফলে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ‘জার জার ওবস্তান থেকে পলাতক’ যেকোনো দেশীয় নেতা কর্মীরা যদি একই সিস্টেমে ইনকাম করতে চায়, সেখান থেকেও রয়্যালটি পাবেন তিনি।
এই খবরে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা দেখা দিয়েছে টেসলা, স্পেসএক্সের মালিক ধনকুবের এলন মাস্কের। ইতিমধ্যেই নিজের X অ্যাকাউন্টে ‘ডরে আমার শরীর কাঁপতাছে’ মিমটি শেয়ার করেছেন তিনি। এদিকে, ওবায়দুল কাদেরের ইনকাম প্রবাহ বিশ্লেষণ করে ফোর্বস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ‘তিনি দিনে গড়ে ৮৯৩টি টেলিগ্রাম মেসেজ ফরওয়ার্ড করছেন। প্রতিটি মেসেজেই ‘আপনার কথা বলানো নিশ্চিত, ইনবক্সে আসেন’ ধাঁচের অফার থাকে।’
বিশ্বব্যাপী টেলিগ্রাম উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখন ‘কাদের মেথড’ শেখার হিড়িক পড়েছে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই খুলে গেছে একাধিক কোচিং সেন্টার, যেগুলো মধ্যে ‘কাদেরস টেলিগ্রাম হ্যাক্স’ এবং ‘ লাইন টু নেত্রী ইন সেভেন ডেজ’ ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলেছে রাজনৈতিক কর্মীদের মাঝে। এমনকি শোনা যাচ্ছে, মার্ক জাকারবার্গও ফেসবুকে ‘মেসেঞ্জার মন্ত্রী কানেক্ট’ ফিচার চালু করার চিন্তা করছেন, যাতে ভবিষ্যতে উনি অন্তত পেছনে না পড়েন।


