লেখা: আসম ফেরদৌস রহমান
প্রধান উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে সব সংবাদমাধ্যমই লেখা দিয়েছে। এর মধ্যে একটা লেখা মনযোগ আকর্ষণ করল।
জন্মদিনে লেখা লিখতেই পারে। ভারতে ছুটি কাটানো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দেশের সবচেয়ে পঠিত পত্রিকা চার পাতার মলাট/ ক্রোড়পত্র বের করতে পারলে নোবেল লরিয়েটকে নিয়ে লেখাটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তো, ওই লেখার সুবাদে জানলাম অন্যের প্রাপ্য পুরস্কার নিজের করে নেওয়ার পারঙ্গম ছিলেন কৈশোরে। এবং চার বছরের বালকের জন্য অস্বাভাবিক—এমন বেশ কিছু কাজও নাকি তিনি করতেন। ক্ষণজন্মারা যেমন হয় আর কী।
সে যাক। কিন্তু সেটা পড়তে পড়তে মাথায় এল, এভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পুরোনো হয়ে গেছে। একটু নতুন কিছু ভাবা উচিত। ভাবতে ভাবতেই মনে হলো লিখেই ফেলি সেটা।
**
প্রউর ৮৫তম জন্মদিন গেল। উনি মানুষ হিসেবে অনন্য, বলতে গেলে মৌলিক। কতটা অনন্য বা মৌলিক সেটা দেখে নেওয়া যাক।
৮৫ মানে আসলে কী? ৮ ও ৫। যোগ করলে ১৩, আর আমরা সবাই জানি ১৩ একটি প্রাইম নাম্বার।
আবার ৮৫ এর দুটি ভাজক, ১৭ ও ৫। এবং সে দুটি সংখ্যা কী? প্রাইম।
প্রউ-র জীবনী অনুযায়ী ১৭ বছরেই ঢাবিতে ঢুকেছেন। আবার প্রাইম।
প্রউ ৩১ বছর বয়সে বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন। ৩১? প্রাইম রে ভাই প্রাইম।
প্রউর কন্যা দুজন। ২, একমাত্র জোড় প্রাইম।
প্রউ দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ৪৩ বছর বয়সে। ২, ৪৩? প্রাইম।
ব্যাংক হিসেবে গ্রামীনের স্বীকৃতি মিলেছে তাঁর ৪৩ বছর বয়সে, ১৯৮৩ সালে। ৪৩ এর পর ৮৩-ও প্রাইম।
নোবেল পাওয়ার ঘোষণা এসেছে? ১৩ অক্টোবর, ২০০৬। ১৩? প্রাইম। ১৩, ১০, ৬ যোগ করলে দাঁড়ায় ২৯, প্রাইম।
প্রউ রাজনীতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করে খোলা চিঠি লিখেছেন ১১ ফেব্রুয়ারি, ০৭। ১১, ৭? ঠিক ধরেছেন, প্রাইম।
দল গঠনের ৪৩ দিনের মাথায় সে যাত্রায় ক্ষান্ত দিয়েছেন। দিনটা ৩ মে, ২০০৭। ৩, ৫, ৭, ৪৩- সব প্রাইম!
যে সরকার পতনের মাধ্যমে তাঁর সরকার প্রধান হওয়ার পথ খুলল সে দিনটা ৫ আগস্ট। ৫ আর ৮ যোগ করুন, প্রাইম। সঙ্গে বছরও নিন। ৫, ৮, ২৪- যোগ করলে দাঁড়ায় ৩৭। আবারও প্রাইম।
এবং সরকারপতনের ঠিক ৩ দিন পর ইন্টেরিমের দায়িত্ব নিয়েছেন।
এবং ইন্টেরিম সরকারে তাঁকে নিয়ে মোট উপদেষ্টার সংখ্যা?
(ড্রাম রোল প্লিজ)
২৩- প্রাইম, প্রাইম, প্রাইম।