ইন্টেরিম সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব নিচ্ছেন এক নতুন মন্ত্রণালয়ের। দীর্ঘদিন ধরে আইন, বিচার নিয়ে কাজ করলেও তিনি হয়তো ঠিকমতো আইন প্রয়োগ কিংবা বিচার-আচার নিয়ে কিছু করতে পারছেন না, তাই তিনি ফেসবুকে নিন্দা জানাচ্ছেন বেশি বেশি। আইন প্রয়োগের চেয়ে নিন্দা জ্ঞাপনে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করার কারনে তাকে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপদেষ্টা পরিষদের অভ্যন্তরীণ সূত্র।
ড. আসিফ নজরুল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন দেখে ফেসবুকে একরকম টানটান ভাব চলে এসেছে। যারা তার ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন কিংবা ফলোয়ার হিসেবে আছেন তারা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। সবাই ধরে নিয়েছেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নজরুল সাহেবকে দিয়ে কয়েক হালি স্ট্যাটাস প্রসব করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবেন। তার কাজকে উৎসাহ দিতে জনগণ বটবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে সহমত জানানো যায় কিনা ভাবছে এখনও।
ড. আসিফ নজরুল নিজেকে নতুন ভাবে প্রস্তুত করছেন বলে জানিয়েছেন তার কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষ। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার কাজ আরও বেড়ে যাবে। আগে তো চাইলে ফেসবুকে চট করে তীব্রনিন্দা জানিয়ে দিতে পারতেন। এখনও তা পারবেন এবং করবেন তবে একজন উপদেষ্টা হিসেবে তাকে আরও ভাল কিছু করতে হবে। বেশ চিন্তা-ভাবনা করে তিনি নিন্দা জানানোর এক অভিনব উপায় বের করেছেন বলে জানা গেছে।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি একটা নিন্দা ও প্রতিবাদ মঞ্চ তৈরি করবেন। এই মঞ্চে এসে যে কেউ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করে যেতে পারবে। সবসময় স্ট্যান্ডবাই সাংবাদিক থাকার কারনে সবার নিন্দা ও প্রতিবাদ দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে যাবে। শুধু যে দেশের কোনো ঘটনার জন্য প্রতিবাদ জানানো যাবে এমন না, কেউ চাইলে বৈদেশিক বিষয়েও প্রতিবাদ জানানো যাবে।
প্রতিবাদ মঞ্চ নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে আমরা কোনো সাড়া পাইনি। তবে তার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে কীভাবে যেন প্রতিবাদ মঞ্চের খোঁজ পেয়ে গেছেন। মোদিকে ৪ বার কল করলেও মোদি ফোন ধরেননি ট্রাম্পের। নিন্দা ও প্রতিবাদ মঞ্চে এসে মোদির এমন কাজের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। স্যার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই যে চমক দেখাচ্ছেন, না জানি দায়িত্ব নিলে কী হবে!