দীর্ঘদিন গবেষণা, সমীক্ষা এবং মাইক্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণের পর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পোকা সোসাইটি (BVPS) অবশেষে ঢাকার ওয়াসা-সরবরাহকৃত পানিকে তাদের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওয়াসার পানির গভীর থেকে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি এমনটা জানায়।
গত সপ্তাহে মগবাজারের একটি পানির কল খুলতেই দেখা যায়, একটি পুরো পরিবারসহ ১৭টি পোকা ঝাঁপ দিয়ে বেরিয়ে আসে। তারা সঙ্গে একটি ছোট্ট ব্যানারও বহন করছিল, যাতে লেখা ছিল, আমরা এই পানির স্থায়ী বাসিন্দা – চোর নয়, বংশপরম্পরায় অধিকারপ্রাপ্ত!
এই সময়ে তাদেরকে ‘তুমি কে আমি কে? ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা ওয়াসা’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
BVPS-এর সভাপতি বিশিষ্ট ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া মিস্টার পাইপাস সিগিলাস এক বিবৃতিতে বলেন, দুনিয়ার যত ফিল্টার, যত ক্লোরিন – সব ব্যর্থ। ওয়াসা আমাদের জন্য যেই পরিবেশ তৈরি করেছে, তাতে আমরাই প্রকৃত নাগরিক। মানুষ শুধু বিল দেয়, অধিকার আমাদের। আমরাই ওয়াসার পাইপে আদীবাসী।
ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা বলেন, পানিতে পোকা থাকলে সেটা প্রমাণ করে পানিটা জীবিত। জীবন্ত পানি খাওয়াটা কি কম সৌভাগ্যের বিষয়? আমি নিয়মিতই খাই! তছাড়া পানির সাথে আমরা আমিষও দিচ্ছি। সামনের মাস থেকে বিল বাড়ানো উচিত।
এরপর তিনি পকেট থেকে ভ্যাকোয়াপিনা নামের এক মিনারেল ওয়াটার বের করে নিজে পান করেন।
এদিকে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবি, ওয়াসার পানি এখন ‘বৈচিত্র্যে ভরপুর এক জীববৈজ্ঞানিক চমৎকার’। তারা এটিকে UNESCO-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব দিচ্ছে।
এদিকে এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি একদিন কল খুলে দেখি, পোকা আমায় দেখে ভয় পেয়ে পিছনে সরে যাচ্ছে। মানে আমি ওয়াসার পানিতে নতুন অনুপ্রবেশকারী!
BVPS এখন পরিকল্পনা করছে ওয়াসার ট্যাঙ্কে একটি কনফারেন্স আয়োজনের, যেখানে অতিথি হিসেবে থাকবে জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গুর আদি লার্ভা ও এক অবসরপ্রাপ্ত অ্যামিবা।