এক আরব শেখ ভর্তি হয়েছেন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। মালাইকা অরোরার কনসার্ট দেখতে এসে তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়েছে। হার্টের অপারেশানের আগে ডাক্তারেরা আরব শেখের ব্লাড গ্রুপের সঙ্গে মিলিয়ে রক্ত জোগাড় করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
ভদ্রলোকের শরীরে ছিলো ব্যতিক্রমী ধরনের রক্ত। তাই ডাক্তার বিভিন্ন দেশে ফোন করেন; ঐ আরব রোগীর রক্তের সঙ্গে মিলিয়ে রক্ত জোগাড়ের জন্য।
অবশেষে, আহমেদাবাদের এক গুজরাটি লোকের শরীরের রক্তের সঙ্গে ম্যাচ করে যায় আরব শেখের রক্তের টাইপ।
গুজরাটি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে অসুস্থ আরবের জন্য রক্ত দেয়।
হৃদযন্ত্রের সফল অস্ত্রোপচার শেষে আরব লোকটি সুস্থ হয়ে যায়। রক্তদানকারী মহান গুজরাটিকে একটা নতুন টয়োটা প্রাডো, হীরক, লাপিয লাযুরি গয়না-অলংকার আর এক মিলিয়ন ডলার উপহার দেয়।
এরপর ঐ আরব আবার মুম্বাইয়ে পাপিয়ার আসরে নাচ দেখতে গিয়ে; আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। আবার তাকে কারেকটিভ সার্জারির জন্য লীলাবতী হাসপাতালে যেতে হয়।
তার ডাক্তার রক্তের জন্য সেই গুজরাটিকে ফোন করলে সে প্রাডো হাঁকিয়ে "লীলাবতী'তে চলে আসে; আরব রোগীর সঙ্গে সেলফি তোলে; আবার রক্ত দেয়।
দ্বিতীয় সার্জারি সফল হবার পর আরব এবার কৃতজ্ঞ হয়ে গুজরাটিকে একটি ধন্যবাদ চিঠি আর এক প্যাকেট হাবসি হালুয়া পাঠায়।
এই উপহার পেয়ে গুজরাটির মন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। কারণ এবার সে একটি সুইমিংপুলওয়ালা বাড়ি উপহার প্রত্যাশা করেছিলো। সুইমিংপুলে কাতলা মাছের মতো হা করে সফল খোকন সোনাদের মতো ছবি তোলার অনেকদিনের স্বপ্ন তার।
গুজরাটি আরব শেখকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে, গতবার রক্তের আঙ্গুরলতা হিসেবে টয়োটা প্রাডো, হীরক, লাপিয লাযুরি গয়না-অলংকার আর এক মিলিয়ন ডলার উপহার দিয়েছিলেন শেখ; আর এবার শুধু হাবসি হালুয়া ধরিয়ে দিলেন! এ ভীষণ পরিতাপের বিষয়!
আরব গান ধরে, ও মানুষ; তোমার দুইটা চোখ দেখবা; দুইটা কান শুনবা; কিন্তু একটা মুখতো, কথাডা একটু কম কবা।
এরপর গলাটা একটু ঝেড়ে আরব বলে, এখন আমার ধমণীতে দক্ষিণ এশীয় গুজ্জু রক্ত যে মোটা ভাই; সেটা বোঝেন না কেন!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন