ইদকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদেরা নানান রকম প্রস্তুতিতে মেতে ওঠেন। ইদের উপহারসামগ্রী বিতরণ, ইদ শুভেচ্ছা বিনিময়, অমুক ভাইয়ের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে ইদের শুভেচ্ছা শীর্ষক পোস্টারে তমুক ভাইয়ের ছবি- এমন নানা আয়োজন। এই আয়োজনগুলো আরও যেসব অভিনব উপায়ে করতে পারেন এ যুগের নব্য রাজনীতিবিদরা-
১#
সাকিব আল হাসান সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছেন। প্রথাগতভাবে ইদের চাঁদ দেখার পর সবাই বাজি পুড়িয়ে ইদকে বরণ না করে এবার চাঁদরাতে মাগুরায় হতে পারে স্টাম্পভাঙা কার্যক্রম। এছাড়াও এবারের রোজা ২৯ দিন হবে, নাকি ৩০ দিন, সে বিষয়ে এলাকাবাসীদের বাজি ধরার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। চাইলে ইদের ছুটিতে নতুন নতুন শোরুমও উদ্বোধন করতে পারেন তিনি।
২#
নতুন এমপিদের মধ্যে যারা ব্যবসায়ী, তারা চাইলে ইদ উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর কাছে সালামি চাইতে পারেন। সঠিক লবিং থাকলে সালামি পাবেন বলে আশা করা যায়। এই সালামির টাকা ফেরত না দিলেও সমস্যা নাই, এতে আপনি বড়জোর সালামি খেলাপি হবেন, তেমন কিছু হবে না আপনার। সালামিগুলো পেয়ে গেলে, ইদটাও ভালো কাটলো সাথে ইদের পরে ব্যবসাটাও।
৩#
সামাজিকতা রক্ষার খাতিরে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য ইদের নামাজের পর দীর্ঘসময় এমপিদের সাধারণ মানুষদের সাথে কোলাকুলি করতে হয়। এটি যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি অপ্রয়োজনীয়। এখান থেকে রাজনীতিবিদরা ওনলি ফ্যান্স এর মডেলদের অনুসরণ করতে পারেন। কয়েকটি লোক ভাড়া করতে পারেন, যারা এমপি সাহেবের হয়ে কোলাকুলি করে দেবেন। এতে সময় অপচয় হবে না, পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সমস্যাও লাঘব হবে। তাছাড়া আপনাদের একজন করে তো ডামি এমপি আছেই।
৪#
রাজনীতিবিদরা চাইলেই অতিরিক্ত ঝামেলাগুলো এড়াতে পারেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন মিডজার্নি, চ্যাটজিপিটি ভিশন, ডাল-ই ইত্যাদির মাধ্যমে ইচ্ছেমতো ছবি জেনারেট করা যায়। চাইলেই রাজনীতিবিদেরা 'অমুক জেলায় দুস্থদের মাঝে ঈদ জপহার বিতরণ' শীর্ষক ছবি জেনারেট করতে পারেন। এখানে থাকবে হাজার হাজার শতছিন্ন পোশাল পরিহিত দুর্বল মানুষেরা আর পেছনে থাকবেন স্বয়ং রাজনীতিবিদ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এর মাধ্যমে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও পোস্টার বানানোর জন্য ছবির অভাব পড়বে না।