লেখা: হৃদি কবীর
শালার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারোস না রিটেকের ঠ্যালায়। ৪ বছরের অনার্স শেষ করোস ৮ বছরে। এই ৮ বছর ৫০ টা বাইকের সাথে ক্যাম্পাসের মধ্যে শোডাউন দেওয়া, মাইয়াগো ইনবক্সে ছ্যাছড়ামি করা, সারাদিন ধইরা ক্লাস বাদ দিয়া আমতলা জামতলায় চামবাদুড়ের মতো পিছে হাত বাইন্ধা অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের পিছে চোরের মতো মিনমিন করা আর রাইত হইলে হাতে পলি পেচায়া রুমে রুমে গিয়া শিবির ধরার নামে স্ট্যাম্প আর পাইপ দিয়া পিডায়া হাড্ডি মাংস এক করা ছাড়া তো কোনো স্কিল গেইন করোস না। সিভি বানাইতে দিলে ফন্ট বড় কইরাও সিভিরে হাফ পেজ বানাইতে পারোস না। ৮ বছর এই খাচ্চরের জীবন পার করার পর তোর ‘প্রিয় অভিভাবক’ এর বাসার দরজার সামনে ফকির হইয়া বইসা থাকোস আর কান্দোস ‘ভাই পুরা ক্যাম্পাস লাইফটাই তো আপ্নারে দিছি। আমারে এবার একটা চাকরি ভিক্ষা দেন।’ ‘প্রিয় অভিভাবক’ তখন আর তোরে চিনে না। আর চিনলে পরে দিলে যদি একটু দয়া হয় তাইলে ফোর্থ ক্লাস কেরানি মার্কা একটা চাকরি জুটে নাইলে রাস্তায় রাস্তায় বেকার ঘুইরা খাচরামি চালায়ে যাস।
আর তুই ফেসবুকে আইসা মারাস ‘বুয়েটে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি দরকার’। এই প্রোফাইল দিয়া বুয়েট নিয়া লেখার কনফিডেন্স পাস ক্যামনে! তুই হইলি খাচ্চর। আমতলার চামবাদুড়। তোর কাজ হইল টাইমলাইনে গিয়া ‘প্রিয় অভিভাবক’-এর সাথে হাত বান্ধা ছবি পোস্ট করা। ক্যাপশনে লিখবি ‘প্রিয় অভিভাবক।’
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন