যে গল্পগুলো আপনাকে এসি কেনার মোটিভেশন দেবে

৩৭৬ পঠিত ... ১৬:৩৭, এপ্রিল ২০, ২০২৪

19 (3)

আপনি কি কোনোভাবে এসি কেনার মোটিভেশন পাচ্ছেন না? এসি কিনবেন কিনবেন করছেন কিন্তু কোনোভাবেই কিনে উঠতে পারছেন না? তাহলে এই গল্পগুলো আপনার জন্যই! এগুলো কোনো রুপকথার গপ্ল না, আমাদের বাস্তব জীবনের গল্প। জানুন, পড়ুন, মোটিভেটেড হোন।

 

১#

নায়ক রাজ্জাক: তখন ১৯৯৬ সাল। হুট করে গরম বেড়ে গেল, ঢাকায় তখন ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস চলছে। আমার ঘরে আমরা স্বামী স্ত্রী ছাড়াও আমার চার ছেলে-মেয়ে। অথচ, এসি মাত্র একটা। আমাদের ঘরে। ছেলে-মেয়েরা সারাদিন আমাদের ঘরেই পড়ে থাকত, এমনকি রাতেও এই ঘরেরই খাট/মেঝে মিলিয়ে সবাই ঘুমাতাম। কিন্তু, এভাবে কতদিন? আস্তে আস্তে এসিও এত মানুষের নিশ্বাসের সাথে পেরে উঠছিল না। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা করব, শেষ সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে একটা ঠেলাগাড়ি কিনে নিলাম। দিনরাত এক করে আমি সেই ঠেলাগাড়ি ঠেলতে থাকলাম। সবার দোয়ায় ১৭ দিন পর আমার বাসায় আমি ৪টা এসি লাগাতে পেরেছি। আমি চাই, আমার মতো আপনারাও যেন পারেন। ঘুরে দাঁড়ান।

 

২#

নায়ক জসিম: আমি আমার পরিবারের বড় ছেলে। বিয়ের পর বউ বাচ্চা নিয়ে আলাদা থাকলেও, ভাইবোনের একমাত্র আবদারের জায়গা আমি। বাবা-মায়ের পরে ওদের দেখে রাখার দায়িত্বও আমার। একবারের গরমে সবাই অতিষ্ঠ, কেউ পেরে উঠছে না। ছোটো বোনটা শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করল, ভাইয়া এসি লাগবে। দিন আনি দিন খাই, এসি কোথায় পাই? একে একে ৩ বোনেরই ফোন পেলাম। আবদার একটাই, এসি চাই। আমার ঘরে একবেলা খাবার আসলে আরেকবেলা কী আসবে আমি জানি না। এসি কেনা তো দূর এসির বাতাস খেয়ে দেখার সৌভাগ্যও আমার কখনও হয়নি। কিন্তু, বোনদের আবদার তো ফেলে দেয়া যায় না। আমি আমার রক্ত বিক্রি করা শুরু করলাম। মাত্র তিন ব্যাগ রক্তের বিনিময়ে আমি আমার বোনদের মুখের হাসি কিনেছি। তাদের এসি কিনে দিয়েছি।

 

৩#  

নায়িকা শাবানা: আমি আমার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে গরমে খুবই কষ্ট হচ্ছিল। ফ্যান দিয়ে কোনোভাবেই গরম ঠেকাতে পারছিলাম না। আমি আমার দিনরাত এক করে দিলাম। বাসায় মায়ের ফেলে রাখা সেলাই মেশিন ছিল, সেটা বের করলাম। আমার মনে আছে, আমি চব্বিশ ঘণ্টায় মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমাতাম, বাকি ২০ ঘণ্টা আমি সেলাই মেশিনেই থাকতাম। আমি আমার বাবা-মাকে এসির হাওয়া দিতে পেরেছি। আমি পেরেছি আমার ঘরে একটা এসি নিয়ে আসতে।

৩৭৬ পঠিত ... ১৬:৩৭, এপ্রিল ২০, ২০২৪

Top