৪৬ তম বিসিএস: ২ ঘন্টা হলে বসে যা করবেন

২২০ পঠিত ... ২২:০৯, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

36

৪৬ তম বিসিএসের ফর্ম ফিলাপ করেছেন বলে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন? ২ ঘণ্টা সময় কী করবেন বুঝতে পারছেন না কিভাবে কাটাবেন?

প্রিয় পাঠক, মনে রাখবেন—কোনো সিচুয়েশনেই আপনি পৃথিবীতে একা নন। আপনার জন্য রইলো কিছু গরম আইডিয়া...

- কবি-সাহিত্যিক-লেখক- ফেসবুক সেলিব্রিটি  হয়ে থাকলে মনে মনে কবিতা, গল্পের প্লট কিংবা হিট ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাবতে পারেন। ২ ঘণ্টা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে সফলতা মোটামুটি নিশ্চিত।

- হলের গার্ডদের (বিশেষ করে ম্যাডামদের) কথায় মনোযোগ দিতে পারেন। তারা পরীক্ষার হলে গার্ড দেবার সময় সকালে কী নাস্তা করলেন, বাচ্চাটি খেলো কি-না, না খেলে কেনো খেলো না, আসার সময় রাস্তার জ্যাম-গরম এবং আরও নানা ইনকনভেনিয়েন্স নিয়ে কথা বলে থাকেন। আপনার যদি সেই কনভারসেশনে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা-সাহস দুটোই থাকে, ট্রাই মেরে দেখতে দোষ নেই।

- টিকটকার/ভ্লগার/ ইউটিউবার হয়ে থাকলে পরবর্তী ভিডিও/কন্টেন্ট কী নিয়ে বানাবেন তা ঠিক করতে পারেন।

- নিজে পড়েন নি তাতে কী হয়েছে, আশেপাশে কেউ সাহায্য চাইলে তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন। আরেকজনকে সাহায্য করার ব্যাপারে কৃপণতা করা উচিৎ নয়। তবে ট্রান্সপারেন্সি মেইনটেইন করতে পরীক্ষা শেষ হবার পর অবশ্যই তাকে জানাবেন যে আপনার প্রিপারেশন ছিলো না, আউট অব কার্টসি সাহায্য করেছেন।

- সিঙ্গেল হলে চোখ কান খোলা রাখুন। সু্যোগমতো ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট চালাচালি করতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, বিয়ে বাড়ি এবং পরীক্ষার হল—এ দুটো জায়গায় অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।

- হলের গার্ডের উদ্দেশ্যে প্রশ্নপত্রের অপর পৃষ্ঠায় চিঠি লিখতে পারেন। সময়ও কাটবে, মনের ভাব প্রকাশও হবে।

- সামনে নিজের/বন্ধুদের হলুদ কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান থাকলে কী কী গান সেখানে বাজবে অথবা কী শাড়ি পড়বেন, শাড়ি ব্লাউজ গয়না ম্যাচিং আছে কি-না তা মনে মনে ঠিক করে কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন।

-বাসায় কী কী বাজার লাগবে, অনেকদিন ধরে কিনবেন ভেবেও ভুলে যাচ্ছেন—এসব জিনিসের একটা লিস্ট করতে পারেন। পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে কিনে নিয়ে যাবেন।

- অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। ফেলে আসা শৈশব, হারিয়ে যাওয়া বন্ধু কিংবা প্রাক্তন প্রেমের নস্টালজিয়ায় সুন্দরভাবে কেটে যাবে দুই ঘণ্টা।

-ওয়াশরুমে যাবার কথা বলে পুরো প্রতিষ্ঠানটি ভ্রমণ করে আসতে পারেন। এ সময় হাঁটার গতি হতে হবে অত্যন্ত ধীরে। কোন ফ্লোরে কয়টি রুম আছে, রিক্রিয়েশন কিংবা গেমস রুমটি কোথায় ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় কৌতুহল সময় কাটাতে সাহায্য করবে।

- শশাঙ্ক রিডেম্পশনের ব্রুকসের মতো ওয়াশরুমের দেয়ালে লিখে আসতে পারেন '_ Was here' (শূণ্যস্থানে নিজের নাম)

- ওয়াশরুমের দেয়ালে নিজের মোবাইল নাম্বার লিখে আসতে পারেন। অথবা দেয়ালে প্রিয়জনের নামের প্রথম অক্ষরের সাথে নিজের নামের প্রথম অক্ষর মিলিয়ে (উদাহরণ— A+Z)  খোদাই করে আসতে পারেন।

-অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কার জামা, জুতা, মেক আপ কেমন, কে কী করছে, কে উশখুশ করছে, কে খসখস করে সবার আগে দাগাচ্ছে এগুলো দেখতে দেখতে ২ ঘণ্টা কেটে যাবার কথা।

-প্রশ্নপত্রের অপর পিঠে ছবি আঁকতে পারে।

-পরীক্ষার হলে লাইট ফ্যান গোনা অত্যন্ত ক্লাসিক আইডিয়া গুলোর ভেতর একটি। আধুনিক কোনো কিছুই করতে না পারলে ক্লাসিকেই ফেরত যেতে পারেন।

সবার জন্য রইলো শুভকামনা 

 

২২০ পঠিত ... ২২:০৯, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

Top