লেখা: চৌধুরী জীবন
জামাইকে সাইজ করতে সহিংস পদ্ধতিতে যাবার কী দরকার? কী দরকার কোর্ট-কাচারির ঝামেলায় গিয়ে? বরং কিছু টোটকা বুদ্ধি দিচ্ছি, কাজ না হলে এমবি ফেরত। গ্যারান্টি!
১#
ঝগড়ার পর এক কাপড়ে বের হবেন না একদম। ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে ব্যাগ গুছান। আর হ্যাঁ, ব্যাগের ভেতরে টিভির রিমোট, এসির রিমোট, গাড়ির চাবি, বাড়ির চাবি, ফ্রিজের চাবি যা আছে সব চাবি নিয়ে নিন।
২#
প্রাণপ্রিয় স্বামীর মোবাইল, ম্যানিব্যাগ, বাড়িতে রাখা যত টাকাকড়ি, পারলে কয়েন বক্স যত্ন করে নিয়ে নিন। বাসার কোনায়-কানায়, চিপায়-চাপায় একটা ছেঁড়া-ফাটা নোটও যেন না থাকে।
৩#
কিচেনে গিয়ে ফিল্টার খালি করে ফেলুন। চাল, ডাল, ইফাদ আটা, ময়দা, সুজি, ইস্পাহানী মির্জাপুর চায়ের পাতা থেকে গ্রিন ট্রির প্যাকেট, পানির বোত্ এমনকি বাসী পাউরুটিও নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখুন।
৪#
পানি খাওয়ার গ্লাস কাপ, প্লেট সব সরিয়ে রাখুন। কারণ পানির তেষ্টা পেলে গ্লাস না পেলেও প্লেটে করে পানি খেতে পারে। আর টেনশনে পিপাসা বেশি পায়।
৫#
জামাই সিগারেট খাইলে সিগারেটের প্যাকেট, লাইটার সব নিয়ে এসে পড়ুন।
৬#
ওওওওও সব থেকে আসল জিনিস হচ্ছে আপনার কোনো জামা-কাপড় নেওয়ার দরকার নাই। কিন্তু জামাইয়ের লুঙ্গি, স্যান্ডো গেঞ্জি থেকে শুরু করে যাবতীয় যত কাপড় আছে তা নিয়ে নিন। পরার জন্য কোনো ছেঁড়া-ফাটা কাপড়ও রাখবেন না।
৭#
সবশেষে জামাইয়ের এর একটা ছবি কুঁচি কুঁচি করে ছিঁড়ে মেইন দরজার সামনে ফেলে রাখুন। দয়া দেখাবেন না প্লিজ।
৮#
আর আপনার একখান হাস্যজ্জ্বল মুখের ছবি রুমে এমন ভাবে রাখুন যাতে তার নজরে পড়ে।
আর হ্যাঁ, ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নাই। আমি ফ্রিতে সবার উপকার করে থাকি।