আমার বন্ধু বিদ্যুত

৯৪ পঠিত ... ১৬:৩৪, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

1

আপনার ঘরের ফ্যানটাকে আপনি যত্ন করেন বা না করেন বিদ্যুৎ অফিস ঠিকই যত্ন করে। তারা জানে এই গরমে আপনি সারাদিনে ভুলে একবারের জন্যও এটা বন্ধ করেন না। একটানা চলতে চলতে কদিন পর নষ্ট হয়ে গেলে তখন তো আপনারই ক্ষতি। আপনাকে আসন্ন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতেই বিদ্যুৎ অফিসের গোপন মিটিঙে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সারাদিনে ফ্যানগুলোকে বিশ্রাম দেওয়ার।

বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা সেই মিটিঙে প্রশ্ন তুলেছিল, ‘কিন্তু ফ্যান রেস্টে গেলে গভের লাভ কী? পাওয়ার কনজ্যুম না হলে মিটার না ঘুরলে গভ: আয় করবে কেমন করে?’

তখন অন্ধকার মিটিঙকক্ষের ভেতর থেকে ভিগভচ বলে উঠলেন, ‘শোনো মূর্খ! সেবা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য, গ্রাহকের ফ্যান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে যে সেবা আমরা দিচ্ছি তাতে খুব শীঘ্রই রেকর্ডবুকে আমাদের নাম দেখা যাবে। এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। আর গভের আয় বাড়ানো তো তোমার ডিপার্টমেন্ট না, তুমি কাজ করবা সুইচ নিয়ে, সার্কিট নিয়ে, গভের আয় নিয়ে তোমার এত হেডেক কেন? গভের আয় গভ নিজেই বাড়াতে পারে। গভের কাউকে দরকার হয় না। গভের নিজস্ব অনেক সিস্টেম আছে। এই যে আমার কাছে একটা খবর আসছে, কাল সকালে যারা মিটারে টাকা ঢুকাবে সবাইকে দুইশো বিশটা করে নম্বর চাপতে হবে। এতগুলো নম্বর আসা মানে ইউনিটের দাম বাড়া আই মিন বৃদ্ধি পাওয়া। মনে রাখবা বুর্বাক, ডিজিট মানেই উন্নয়ন।‘

এখন একটা প্রশ্নের উত্তর দাও দেখি, ‘কোনো ডিজি যদি মদ্যপান করতে করতে মাতাল হয়ে পড়ে তাকে এক কথায় কী বলে?’

‘স্যার, ডিজিমাতাল।‘

‘অহ রাবিশ! দ্য এন্সার ইজ, ডিজিটাল'।‘

 

 

৯৪ পঠিত ... ১৬:৩৪, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top