১.
বাবার অফিসের বস এমদাদ সাহেব বাসায় আসবেন বেড়াতে। ছোট্ট মেয়ে মুনিয়া তাই মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করছিল। রান্না, টেবিল গোছানো...সব কাজেই সে মাকে সাহায্য করল। যথাসময়ে অতিথিরা এসে হাজির।
বাবা: মুনিয়া মা আমার, তুমি খুব সুন্দর করে টেবিল সাজিয়েছ। কিন্তু তুমি বোধ হয় একটা কাজ করতে ভুলে গেছ। এমদাদ চাচুর প্লেটের পাশে চামচ আর ছুরি দাওনি কেন?
মুনিয়া: আমি ভুলিনি, বাবা। ওনার তো ওগুলো লাগবে না।
বাবা: কেন?
মুনিয়া: তুমি না একটু আগে মাকে বলছিলে, ‘আমার বস লোকটা ঘোড়ার মতো খায়!’
২.
শিক্ষক: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, রোকনের খুব জ্বর হয়েছে এবং ও আজ স্কুলে আসতে পারবে না?
এপাশ থেকে: হু!
শিক্ষক: আপনি কে বলছেন?
এপাশ থেকে: আমার আব্বু বলছি।
৩.
বাবা: খোকা, তোমার রিপোর্ট কার্ডটা নিয়ে এসো দেখি।
খোকা: বাবা, আমার রিপোর্ট কার্ডটা আমার এক বন্ধু ধার নিয়েছে।
বাবা: কেন? বন্ধুর রেজাল্ট কি খুব খারাপ হয়েছে? তোমার কার্ড দেখিয়ে বকার হাত থেকে বাঁচতে চায়?
খোকা: না, ও ওর বাবা-মাকে ভয় দেখাতে চায়!
৪.
খাবার টেবিলে বসে--
ছেলে: বাবা, তেলাপোকা খেতে কেমন?
বাবা: খাওয়ার সময় বাজে কথা বলতে হয় না। চুপচাপ খাওয়া শেষ করো। পরে শুনব।
খাওয়া শেষ হওয়ার পর--
বাবা: হুম, কী যেন বলছিলে?
ছেলে: বলছিলাম, ডালে একটা তেলাপোকা পড়েছে। কিন্তু তুমি তো সবটুকু ডাল খেয়ে ফেলেছ!
৫.
চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাবা ছেলেকে বলছিলেন, বাঘ কত ভয়ংকর প্রাণী, কী ভীষণ হিংস্র সে...!
ছেলে: (কাঁদো কাঁদো হয়ে) বাবা, এই বাঘ যদি তোমাকে খেয়ে ফেলে...
বাবা: (আদুরে স্বরে) কী হবে তাহলে?
ছেলে: আমি বাসায় যাব কীভাবে! ভ্যা...
৬.
ছেলে বাবার কাঁধে বসে চুল টানছে।
বাবা: খোকা, চুল টানা বন্ধ করো।
খোকা: চুল টানছি না তো বাবা, আমার চুইংগামটা ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করছি!
৭.
বাবা: খোকা, ক্লাস সেভেনে উঠে তোমার কেমন লাগছে?
খোকা: খুবই খারাপ, বাবা।
বাবা: বলো কী! কেন? ক্লাস সেভেনেই তো আমি আমার জীবনের সেরা তিনটা বছর কাটিয়েছি!
৮.
ছেলে: বাবা, আমাকে আরেক গ্লাস পানি দাও।
বাবা: তোমার এত পানি লাগে কেন? তোমাকে ইতিমধ্যে ১০ গ্লাস পানি দিয়েছি।
ছেলে: কিন্তু বাবা, বিছানায় যে আগুন ধরিয়েছি, সেটা তো নিভছে না!
৯.
বাবাঃ জানিস, তোর পড়ালেখার পিছনে আমার কত খরচ হয়?
ছেলেঃ হ্যা বাবা, জানি বলেই তো কম কম পড়ালেখা করে তোমার খরচ কমানোর চেষ্টা করি।
১০.
ছেলেঃ মা! বাবার চোখে চশমা কেন?
মাঃ তুমি বাবার কথা শুনো না যে তাই! যাদের ছেলে কথা শুনে না তাদের এমন হয়।
ছেলেঃ ওহ! এবার বুঝলাম, কেন দাদু ভাইয়ের চোখে এত পাওয়ারের চশমা!
১১.
তুহিন: বাবা! বাবা! দেখো, আমি খুব সস্তায় দারুন একটা চাইনিজ রেডিও কিনেছি।
তুহিনের বাবা: তুই কি বোকা তুহিন! তোর কবে একটু বুদ্ধিসুদ্ধি হবে আমায় বলতো? তুই তো চাইনিজ ভাষাটাই জানিস না, তাহলে কি করবি এই চাইনিজ রেডিও দিয়ে?
১২.
ছেলের দু’দিন পর পরীক্ষা। অথচ পড়াশোনার নাম গন্ধ নেই। সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায়। মা, ব্যাপারটা দেখে বলেন-
মাঃ হাবলু, তোর না দু’দিন পরে পরীক্ষা! পড়াশোনা করছিস না যে!
হাবলুঃ মা পরীক্ষার এতো চাপ- পড়ার সময়ই পাচ্ছি না!!
১৩.
ছেলে গান গাইছে, ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা’
বাবা: খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকা: বাবা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
বাবা: তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
১৪.
বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?
ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।
বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?
ছেলে: না, বাকি গুলোতো লিখতেই পারিনি।
১৫.
একদিন স্কুল থেকে ফিরে ছোট্ট রিমন খুব রাগ করে বলছে
রিমন: বাবা, কাল থেকে আমি আর স্কুলে যাবো না।
বাবা: কেন বাবা, কী হলো হঠাৎ করে? স্কুলে যাবে না কেন? লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
রিমন: তা নয়। স্কুলের টিচাররা কিচ্ছু জানে না। খালি ছাত্রদের কাছেই পড়া জানতে চায়।
১৬.
বাবাঃ আজ স্কুলের টিচার কী বললেন?
ছেলেঃ বললেন যে তোমার জন্য একজন ভালো অংকের টিউটর রাখতে।
বাবাঃ মানে?
ছেলেঃ মানে তুমি হোমওয়ার্কের যে অংকগুলো করে দিয়েছিলে, সব ভুল ছিলো।
১৭.
ছোট মেয়েটি এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, 'বাবা, আম্মু কি আমার যত্ন নেয়?'
চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, 'অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে শোনায়।'
'দাদুভাই কি আমার যত্ন নেয়?'
'অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট, চকলেট নিয়ে আসে।
'আর দাদুমণি?'
'দাদুমণিও।'
'আর ফুপি?'
'ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।'
'আ...র রহিমার মা?'
'ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়।'
সবকিছু শুনে ছোট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বলবে, 'তাহলে তো আম্মু ঠিকই বলছে। এ বাসায় তুমি একমাত্র কোন কাজের না।'
১৮.
পড়া শেষ করে মাত্র ইন্টারনেটে বসেছে হাশেম, এমন সময় বাবা এসে গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করল, কি হাশেম, পড়া শেষ?
- জ্বি বাবা।
- আচ্ছা, তাহলে বলো তো দেখি, ‘শীত’-এর বিপরীত কী?
- গ্রীষ্ম।
- আচ্ছা, যাও।
- আসো।
- অভদ্র ছেলে।
- ভদ্র ছেলে।
- কী আশ্চর্য!
- এটা পারবো না বাবা।
২০.
ছোট্ট নোমান দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে ওর বাবাকে বলল, বাবা বাবা, ভাইয়া না একটা আস্ত তেলাপোকা খেয়ে ফেলেছে!
- বলিস কী! তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে গেছে!
- না বাবা, ভয় নেই। আমি সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি। আমি ভাইয়াকে তেলাপোকা মারার ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। তেলাপোকাটা ভাইয়ার পেটে গিয়েও আর কিছু করতে পারবে না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন