মুঘল সুবাদার ইসলাম খানের হাত ধরে ঢাকায় কাসিদা চর্চার বিকাশ ঘটে। কাসিদা এক ধরনের গীতিকাব্য। কবিতার সুরে সুরে প্রিয়জনের গুণকীর্তনকেই কাসিদা বলা হতো৷ কিন্তু কাসিদার রয়েছে অনেক রকমফের।
বাংলাদেশে রমজান উপলক্ষে পুরান ঢাকায় কাসিদা জনপ্রিয় হয়ে পড়েছিল। রোজার রাতে পাড়ার মানুষদের ঘুম থেকে জাগাতে তরুণরা ঢাকঢোল পিটিয়ে উর্দু ও ফার্সি ভাষায় কাসিদা গাইত।
উনিশ শতকের শেষ নাগাদ কাসিদা চর্চা শুরু হয়। একটা সময় এই কাসিদা বাংলাতে বিবর্তন হয়। সেহরির সময় ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্মের যুগ তখন ছিল না। ফলে এই কাসিদা শুনেই মানুষের ঘুম ভাঙত।
কাসিদা তিনপর্বে ছিল বিভক্ত। প্রথম পর্বকে বলা হতো চাঁন রাতি আমাদ। এই পর্বে সেহরির জন্য ঘুম থেকে এলাকার লোকজনকে তুলতো কাসিদাওয়ালারা।
দ্বিতীয় পর্বকে বলা হতো খোশ আমদেদ। রমজানে মধ্যভাগ পর্যন্ত এ মাসের ফজিলত উল্লেখ করা হতো এ কাসিদায়।
তৃতীয় পর্বকে বলা হতো আল-বিদা। এই পর্বে রমজানকে বিদায় জানিয়ে পাঠ করা হতো কাসিদা।
তথ্যসূত্র: ঢাকাইয়া আসলি,আনিস আহামেদ
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন